গাড়ি নিয়ে ওয়ান ওয়ে-তে, সার্জেন্ট বাধা দেওয়ায় মার, নিউ মাকের্টে ধৃত দুই ব্যবসায়ী
বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একমুখী রাস্তায় গাড়ি নিয়ে উল্টোপথে ঢুকে পড়েছিল। কর্তব্যরত সার্জেন্ট গাড়ি থামানোয় তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গাড়িচালক ও আরোহীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ মার্কেট থানা এলাকায়। সার্জেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে পবন জয়সওয়াল ও শিবম জয়সওয়াল নামের দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিসের কাজে বাধা ও কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিকের উর্দি ছিঁড়ে দেওয়া সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই ব্যবসায়ী ওইদিন রাতে নিউ মার্কেট এলাকায় একমুখী রাস্তায় নিয়ম ভেঙে উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। তাঁরা কলেজ স্ট্রিটে যাওয়ার জন্য শর্ট কার্ট করতেই এই পন্থা নিয়েছিলেন। গাড়িতে ওই সময় মোট চারজন ছিলেন। সেই সময় ওই এলাকায় ডিউটিতে ছিলেন হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের এক সার্জেন্ট। অভিযোগ, বিধি ভাঙার কারণে তিনি গাড়ি আটকালে হম্বিতম্বি শুরু করেন দুই ব্যবসায়ী। তর্কও জুড়ে দেন সার্জেন্টের সঙ্গে। এরপর দু’জন গাড়ি থেকে নেমে এসে আচমকাই সার্জেন্টকে হেনস্তা ও মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরই ফাঁকে পিছনের আসনে বসা বাকি দু’জন গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন।
সার্জেন্টকে আক্রান্ত হতে দেখে ছুটে আসেন অন্যান্য পুলিস কর্মীরা। তাঁরা ওই দুই ব্যবসায়ীকে ধরে ফেলেন। তাঁদের আটক করে নিউ মার্কেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার দিক থেকে পার্টি সেরে ফিরছিলেন অভিযুক্তরা। বেপরোয়া গতিতে চলছিল গাড়িটি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেই গাড়ির গতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। ওয়ান ওয়ে রাস্তায় উল্টোদিক থেকে গাড়ি নিয়ে এলে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়। রবিবার ধৃত দু’জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবী বলেন, তাঁরা পুলিসকে হেনস্তা বা মারধর করেননি। তাঁরা যে নিয়ম ভেঙেছেন, সেটি জামিনযোগ্য ধারা। যদিও সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁরা শুধু নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালাননি, সার্জেন্টকে হেনস্তা ও মারধরও করেছেন। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। আইনজীবী মহলের বক্তব্য, তদন্তকারী অফিসারের ভুলের জন্যই অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গিয়েছেন। অভিযুক্তদের আইনজীবী বলেন, তদন্তকারী অফিসাররা অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তারির বিষয়ে কিছু জানাননি। শুধু তাই নয়, অ্যারেস্ট মেমোর কপিও দেওয়া হয়নি তাঁদের পরিবারকে। যা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী আইনসিদ্ধ নয়। সেকারণেই এই জামিন বলে আদালত সূত্রে খবর।