• বারাসত শহরে বেহাল যশোর রোড, প্রশাসনিক উদাসীনতায় বাড়ছে ক্ষোভ
    বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: নামেই জাতীয় সড়ক। কিন্তু যাতায়াত করলে মনে হবে অনুন্নত এলাকার খানাখন্দে ভর্তি কোনও রাস্তা। বারাসত শহরের ডাকবাংলো থেকে চাঁপাডালি মোড় পর্যন্ত যশোর রোড যেন মারণফাঁদ! কয়েকদিনের বৃষ্টির পর রাস্তার এই অংশের অবস্থা আরও বেহাল হয়েছে। ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বহু মানুষের নিত্য যাতায়াত। তারপরও প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ—কারও হুঁশ ফেরেনি বলে অভিযোগ। যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।

    কলকাতা থেকে বসিরহাট বা বনগাঁ যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হল যশোর রোড। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের কলকাতা যাওয়ার অন্যতম সড়কও বটে। বারাসত শহরের উপর দিয়েই গিয়েছে যশোর রোড। আর সেখানেই বর্তমানে রাস্তার এমনই বেহাল অবস্থা। রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। চাঁপাডালি মোড় থেকে ডাকবাংলো পর্যন্ত রাস্তায় হয়েছে অসংখ্য গর্ত। অথচ এই রাস্তায় নিয়মিত যানবাহনের চাপ লেগে থাকে। স্থানীয় অটো, টোটোর দাপাদাপি তো আছেই। হাটখোলা, দক্ষিণপাড়া, শেঠপুকুর সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পিচ উঠে গিয়েছে। দিনের বেলা যাতায়াত করতে গেলেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রাতে তো কথায় নেই! সব মিলিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মাঝেমধ্যে অটো বা টোটোর চাকা আটকে পড়ছে জলভর্তি গর্তে। বাইকের চাকাও আটকে যাচ্ছে যখন-তখন। যানজট তৈরি হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে। রাস্তার চাঙড় উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে পাথর। অনেক সময় গাড়ির চাকায় লেগে সেই পাথর ছিটকে যাচ্ছে। যে কোনও সময় জখম হতে পারেন যে কেউ। 

    শেঠপুকুরের বাসিন্দা অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যশোর রোডকে এখন জাতীয় সড়ক না বলাই ভালো। করুণ দশা রাস্তার। বাইক নিয়ে জীবন হাতে করেই যেতে হয়। এই রাস্তা দিয়েই তো নেতা, মন্ত্রী, আমলাদের নিত্য আনাগোনা। তারপরও হুঁশ ফেরেনি।’ ব্যবসায়ী বিপুল পাল বলেন, ‘দোকানের সামনের দিকে কাঁচ দেওয়া আছে। কিন্তু মাঝমধ্যেই রাস্তা থেকে পাথর ছিটকে আসছে। কাচ ভেঙে আমাদের ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে।’ রাস্তার এই দশা নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘পূর্তদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে রাস্তার সংস্কার করা হবে দ্রুত।’ - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)