• স্লুইস গেটে বরাদ্দ আট লক্ষ, ফ্রেজারগঞ্জে শুরু হল কাজ
    বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের আবেদন মেনে শুরু হল স্লুইস গেট তৈরির কাজ। দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে এটি বেহাল অবস্থায় পড়েছিল। ফলে নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম শিবপুর এলাকায় প্রায় প্রতি বছরই নদীর নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হয়ে যেত কৃষিজমি। চাষ করতে পারতেন না গ্রামবাসীরা। বিশেষত কোটালের সময় নদীর জল বাড়লেই ওই এলাকা নোনা জলে প্লাবিত হয়ে যেত। বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো প্রায় ৪০০টি পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার বাসিন্দারা নতুন একটি স্লুইস গেট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েছিলেন। অবশেষে ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আট লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন স্লুইস গেট তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত এডওয়ার্ড ক্রিক খালের বাঁধে এই স্লুইসটি ছিল। কিন্তু এটি ভেঙে যাওয়ার কারণে প্রতিবছরই নোনা জল ঢুকে প্রায় দুই হাজার বিঘা কৃষিজমি প্লাবিত হয়ে যেত। গ্রামের পুকুরগুলিতেও নোনা জল ঢুকে যেত। গ্রামবাসীরা ধান, সব্জি ও পুকুরে মাছচাষও করতে পারতেন না। এবিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা সুব্রত বাগ বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্লুইস গেটের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জমি থাকা সত্ত্বেও চাষ করতে পারতাম না। এমনকী পুকুরের জলও ব্যবহার করা যেত না। স্লুইস গেটটি ভাঙা থাকার কারণে গ্রামের জল নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল হয়ে পড়েছিল। বর্ষাকালে জমিতে হাঁটুসমান জল দাঁড়িয়ে থাকতো। নদীর জল বাড়লেই গ্রামে নোনা জল ঢুকে যেত। গ্রামবাসীরা সবাই খুবই সমস্যার মধ্যে ছিলেন। স্লুইস গেটটি তৈরি হয়ে গেলে আশা করি সমস্যা মিটে যাবে।

    ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাশীনাথ জানা বলেন, স্লুইস গেট নিয়ে দীর্ঘদিন ওই এলাকায় একটা সমস্যা ছিল। তাই গ্রামবাসীদের দাবি মেনে সেটি তৈরি করার জন্য আপাতত আট লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)