• গ্রেপ্তারি সম্পূর্ণরূপে আইনসিদ্ধ, সমাজমাধ্যমে রটানো তথ্য মিথ্যা, গুরুগ্রামে ধৃত তরুণী প্রসঙ্গে দাবি কলকাতা পুলিসের
    বর্তমান | ০২ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে তরুণীকে গ্রেপ্তারি সম্পূর্ণরূপে আইনসিদ্ধ। পুলিসি নোটিস বারংবার উপেক্ষা করায় গুরুগ্রামের তরুণী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে ‘ফেরার’ বলে আদালতের কাছে দাবি করে কলকাতা পুলিসের গার্ডেনরিচ থানা। এরপরেই আদালতের ইস্যু করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আইনের ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে যাওয়া বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সম্পর্কে এমনই বার্তা দিল লালবাজার। এই মর্মে রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আইনসিদ্ধ গ্রেপ্তারি নিয়ে পোস্ট করে কলকাতা পুলিস। 

    সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপত্তিকর মন্তব্য ও ভিডিও আপলোড করে একাধিক এলাকায় অশান্তির পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগ রয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে গুরুগ্রাম থেকে তরুণীকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিস। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় এনে শনিবার আলিপুর আদালতে হাজির করা হয়। শর্মিষ্ঠার তরফের আইনজীবী মহম্মদ শামিমউদ্দিন জামিনের আবেদন করে বলেন, ‘‌অভিযুক্ত একজন আইনের ছাত্রী। তাঁকে গ্রেপ্তার করে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’ 

    সরকারি কৌঁসুলি জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘ধৃত তরুণী এক্স হ্যান্ডেল ও ইনস্টাগ্রামে ‌উস্কানিমূলক, আপত্তিকর বক্তব্যের ভিডিও আপলোড করেছেন। তার নামে ওয়াটগঞ্জ, একবালপুর‌ সহ আরও নানা জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে। কেন সেসব ভিডিও আপলোড করা হল, অন্য কেউ তাঁকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে কি না, এর পিছনে কী মোটিভ আছে, এসব বিষয়ে জানতে হবে। ধৃত তরুণী আইনের ছাত্রী। তার ধারণা থাকা উচিত, এই ধরনের পোস্টের কী প্রভাব হতে পারে। তদন্ত দরকার।’ উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক ধৃতকে ১৩ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর, আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন করতে চলেছেন শর্মিষ্ঠার আইনজীবী। 

    অন্যদিকে, গার্ডেনরিচ থানায় শর্মিষ্ঠার নামে যে ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, এবার তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হল। জানা গিয়েছে, ওই অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে রবিবার দিল্লির সাইবার ক্রাইম থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)