হাতে মাছ-দইয়ের ভাঁড় নিয়ে পাঞ্জাবি পরে জামাই সেজে তৈরি তিন ব্যাচেলার। শুধু ডাকার অপেক্ষা। যেমন চান, তেমনই মিলবে জামাই। ভাড়া নিতে পড়বেন জামাইকে। রবিবার জামাইষষ্ঠীর দিনে এমনই মজার ঘটনার সাক্ষী হল বর্ধমানের গুসকরাবাসী।
বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম, জামাইকে ঘরে ডেকে ভালো-মন্দ খাওয়াতে ভালোরকম পকেট খসাতে হচ্ছে শ্বশুর-শাশুড়িকে। তবে বর্ধমানের গুসকরার বাসিন্দা সুরজিত পাত্র, রোহন সাঁতরা, সোমনাথ পালিত এখনও বিবাহিত নন। জামাইষষ্ঠীর মহাভোজেরর গল্প শুনেছেন শুধু লোকমুখে। তবে নিজেদের সৌভাগ্য হয়নি। তাই জামাই ষষ্ঠীর দিনে মজার ছলে নয়া উদ্যোগ নিলেন তাঁরা।
যদিও এলাহি খানাপিনার আবদার নেই তিন জনের মুখে। তাঁরা বলছেন, ‘খাসির মাংস চাই না, ডিম ভাতেই রাজি। শুধু একদিনের জন্য জামাই হতে চাই।’ সুরজিত পাত্র বলেন, ‘আমরা প্রায় দশ বছর ধরে পাত্রী খুঁজছি। কিন্তু কেউ আমাদের পছন্দ করছে না। সেই কারণে আমরা শুধু চাইছি, কেউ আমাদের বাড়ি নিয়ে গিয়ে জামাই আপ্যায়ন করুক। শুধু এটুকুই চাই।’
তিন যুবকের কর্মকাণ্ডে হাসির রোল ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। মিঠু মাইতি নামে এক স্থানীয় মহিলা বলেন, ‘এ ভাবে জামাই সেজে বেরিয়েছে, দেখে ভালোই লাগছে। আমার মেয়ে নেই। তবে ভাবছি, এক জামাইকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে আপ্যায়ন করব কি না।’ আরেকজনের কথায়, ‘জামাই ভাড়া পাওয়া যায়, এ জীবনে প্রথম দেখলাম। বেশ মজা লাগল।’