সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে রবিবার, জামাইষষ্ঠীর দিন কলকাতায় কার্যত ঝটিকা সফর করে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘বিজয় সংকল্প কার্যকর্তা সম্মেলন’ থেকে রাজ্যের শাসকদলকে নানা বিষয়ে আক্রমণ করলেন। এমনকী তিনবার বিপুল ভোটে জিতে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে শাহ বললেন, ”হিংসা আর রিগিং ছাড়া ভোট হলে তৃণমূলের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না।” তাঁর এই চ্যালেঞ্জের পালটায় তৃণমূলের তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের সাফ বক্তব্য, ”ভোট করায় দিল্লির নির্বাচন কমিশন। হিংসা হলে তার দায় কমিশনের।”
রবিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে অমিত শাহ অভিযোগের সুরে বলেন, “বাংলায় ভোটের সময় আর তৃণমূল জেতার পর জয় পাওয়ার পরে শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়। তৃণমূলের গুন্ডারা এসব করে। দিদি, কত দিন বাঁচাবেন এদের?” এরপর তাঁর হুঁশিয়ারি, ”আমি বলছি, আপনার (সরকারের) সময় এবার শেষ হয়ে এসেছে। ২০২৬ সালে বাংলার মাটিতে বিজেপি সরকার গঠন করবে। আমি মণ্ডল পদাধিকারীদের আশ্বাস দিচ্ছি, আমাদের কর্মীদের হত্যার নেপথ্যে যারা দায়ী, সেসব অপরাধীদের মাটির তলা থেকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেব। দিদি, সাহস থাকলে, হিংসা ছাড়া নির্বাচন করিয়ে দেখুন। আপনার জামানত জব্দ করে দেবে বাংলার জনতা।”
শাহের সভা শেষের পর বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাগরিকা ঘোষরা। চন্দ্রিমা বলেন, ”মনে রাখবেন, জামাইষষ্ঠীর দিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মতো বড় প্রেক্ষাগৃহে বিজেপির কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই এমনটা করেছেন। আর বলছেন, হিংসা ছাড়া ভোট হলে নাকি তৃণমূলের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আমরা প্রশ্ন করতে চাই, ভোট কি রাজ্য সরকার করায়? তা তো দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। ভোটে হিংসা হলে তাহলে নির্বাচন কমিশনেরই দায়। আপনি কি স্বীকার করছেন যে ভোটের সময় আপনাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও হিংসা দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে?”