• জামালপুরে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ঘুষ নেওয়ায় অভিযুক্ত BJP নেতা
    আজ তক | ০২ জুন ২০২৫
  • আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে দুই হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। বিজেপির এক নেতার ঘুষ চাওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানী বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নাম প্রধানচন্দ্র পাল। তিনি জামালপুর ব্লকের মণ্ডল সভাপতি পদে রয়েছেন। 

    জামালপুরের এক নম্বর মণ্ডলের সভাপতি প্রধানচন্দ্র পাল এলাকায় প্রতিপত্তি দেখিয়ে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে বাসিন্দাদের কাছে টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি মহলে ব্লক আধিকারিক থানা পুলিসে যোগাযোগ আছে বলে এলাকার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে টাকা আদায় করেছে ওই বিজেপি নেতা। আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বচ্ছতা বজায় রাখার কথা জানিয়েছেন বারবার। এই প্রকল্পের যেকোনও অভিযোগের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেও বিজেপি নেতা এলাকার মানুষের কাছে বেআইনিভাবে টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে l এই বিষয়ে বাসিন্দাদের সই সংগ্রহ করে জেলাশাসক কে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। 

    এ বিষয়ে বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি জিতেন দখাল গোটা বিষয়টাই স্বীকার করে নিয়েছে। তিনি বলেছেন, বিষয়টি খুব দুর্ভাগ্যজনক। ভারতীয় জনতা পার্টি একটা সাংগঠনিক পার্টি। আর তার মধ্যে বিভিন্ন দিক দিয়ে প্রধানচন্দ্র পালের নামে বহু অভিযোগ এসে পৌঁছাচ্ছে। ভারতীয় জনতা পার্টি একটা সুশৃংখল দল তাতে যেভাবে প্রধানচন্দ্র পালের মতো নেতাদের দল প্রশ্রয় দিচ্ছে সেটা দলের ভাবা দরকার। দল নিশ্চয়ই এ বিষয়টা নিয়ে ভাববে।

     অন্যদিকে তৃণমূলের জামালপুরের ব্লক সভাপতি মেহেমুদ খান এবিষয়ে বলেন, এই বিষয়টা আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বিজেপির আসল রূপ সামনে আসছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী গরিব মানুষের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন কেন্দ্রের আবাস যোজনার টাকা দেওয়া খেটে খাওয়া মানুষের বঞ্চনা দেখে তিনি বাংলার বাড়ি প্রকল্প শুরু করেছেন বানভাসি এলাকার মানুষের কথা ভেবে বানভাসী এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে ঘর দিয়েছেন। গরিব মানুষের ন্যায্য দাবি ফিরিয়ে দেবার জন্য তিনি বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ঘর দিচ্ছেন। আর আর সেই ঘরের নাম করে যদি কেউ টাকা নেয় তাহলে প্রশাসন আইনত ব্যবস্থা নেবে এবং তিনি নিজে প্রশাসনকে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবেন যাতে প্রশাসন এই সমস্ত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে যে কথা শুনলাম তা যদি সত্যি হয় তাহলে আগামীদিনে আরও অনেক কিছুই দেখতে হবে আমাদের।

    টেলিফোনে প্রধানচন্দ্র পালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।  রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্ত ওই মণ্ডল সভাপতি।  তিনি বলেন এই বিষয়ে জানা নেই। যে বা যারা অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।

    সংবাদদাতা: সুজাতা মেহেরা
  • Link to this news (আজ তক)