হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দির রহস্যমৃত্যু, 'খুন করা হয়েছে ', পরিবারের চাঞ্চল্যকর দাবি ...
আজকাল | ০২ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে রহস্যমৃত্যু এক বিচারাধীন বন্দির। রবিবার সকালে সংশোধনাগারের সেলের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় সেই অভিযুক্তের দেহ। সেলের ভেতর অন্য কয়েদিরা দেখতে পায় তার ঝুলন্ত দেহ। সে সেলের গেটে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম মহম্মদ সেলিম। খুনের চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত সে। প্রায় চার বছর আগে বি গার্ডেন থানার পুলিশ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। চার বছর ধরে জেলেই ছিল সেলিম। জেলে থেকেই চলছিল তার বিচার পর্ব। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে সেলিমকে। গলায় কোনও দাগ নেই বলে জানিয়েছে পরিবার। আজ সেলিমের ময়নাতদন্ত ও মেজিস্ট্রেট এনকুয়েস্টমেন্ট হবে পুলিশ মর্গে।
এদিন মৃতের মা সালমি বেগম জানান, কয়েক বছর আগে দুই পরিবারের মধ্যে মারপিট হয়েছিল। তার জেরে মামলা হয়। ছেলের চার বছরের জেল হয়। আজ এর মৃত্যুর খবর পাই। মৃতের আত্মীয় সায়লা খাতুন বলেন, 'আমরা আজ দেখা করতে গিয়েছিলাম। হাওড়া থানার পক্ষ থেকে বড়বাবু জানান সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। দরজার গেটে সে ঝুলছিল। যে সেলে তাকে রাখা হয়েছিল সেখানে দু'জন অভিযুক্ত ছিল। তারা জানিয়েছে ওরা যখন শুয়েছিল তখন সে ফাঁসি লাগিয়েছে। আমরা ছবি দেখেছি। সে গলায় ফাঁস দেয়নি। তাকে খুন করা হয়েছে।'
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ সেলিম নামে একজন আসামি গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যায়। সে ধর্মেন্দ্র মার্ডার কেসের একজন অভিযুক্ত। বেশ কয়েক বছর ধরে সে জেলে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।