বিতর্কিত মন্তব্যের পর বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ বার পুনের পড়ুয়া শর্মিষ্ঠা পানোলির পাশে দাঁড়ালেন ডাচ রাজনীতিবিদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স। শনিবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছে শর্মিলাকে। অবিলম্বে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রিট।
এমনকী, শর্মিষ্ঠাকে নিয়ে তাঁর পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ট্যাগ করেছেন ডাচ রাজনীতিবিদ। তিনি লিখেছেন, ‘সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্তি দিন! তাঁকে গ্রেপ্তার করা বাকস্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক। পাকিস্তান এবং মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওঁকে সাহায্য করুন।’
কলকাতার আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা শর্মিষ্ঠার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এক নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিয়ে তাঁর মন্তব্যের কারণে সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গার্ডেনরিচ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পর হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শর্মিষ্ঠাকে নিয়ে জাতীয় স্তরেও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। একের পর এক বিজেপি নেতা শর্মিষ্ঠার গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করছেন। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শর্মিষ্ঠাকে ‘মিথ্যা মামলা’য় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ভাবে হিন্দু কণ্ঠকে রোধ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই দাবিকে নস্যাৎ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় নয়, বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্যই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে কলকাতা পুলিশ।
তারা জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ক উদ্দেশ্য করে কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা, যা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈষম্য ও ঘৃণার জন্ম দেয়, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ঘৃণামূলক মন্তব্য এবং অশালীন ভাষাকে সংবিধানের ১৯(১)(ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়।
কলকাতা পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার যথাযথ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের চলাকালীন তাঁকে বেশ কয়েকবার নোটিস পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর নাগাল পাওয়া যায়নি। তাই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গুরুগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের পরে, ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁর জেল হেফাজত হয়েছে।