অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য এবং রাজ্যে অনুপ্রবেশ — এই দুই অস্ত্রেই রবিবার তৃণমূলকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অমিত শাহ। নেতাজি ইন্ডোরের সভার পরেই পাল্টা জবাব তৃণমূলের। পহেলগামে জঙ্গি হামলা এবং অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীরই পদত্যাগ দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে শাহ বলেন, ‘তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আশীর্বাদে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। আপনারাই বলুন, অনুপ্রবেশ আটকানো উচিত কি উচিত নয়? দিদি কি আটকাতে পারবেন?’ অমিতের এই মন্তব্যের চরম বিরোধিতা করা হয় তৃণমূলের তরফে। শাহি সভার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যে অনুপ্রবেশের কথা বলেছেন। এটা রক্ষা করার দায়িত্ব কার? বিএসএফ কার দায়িত্বে রয়েছে। আপনি নিজের ব্যর্থতাটাকে প্রমাণ করে দিচ্ছেন। আপনি ব্যর্থ। আপনার পদত্যাগ করা উচিত।’
পহেলগামের জঙ্গি হামলার বিষয়টিও তুলে ধরেন চন্দ্রিমা। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। দেশের মাটিতে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, এমনটাই দাবি করেন চন্দ্রিমা। তাঁর কথায়, ‘আপনার কাছে কোনও খবর ছিল না। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ তো কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। আপনাদের গাফিলতিতে ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছে। কেন? এর উত্তর দেবে কে? যারা জঙ্গি হামলা করেছিল, তাদের ধরা গিয়েছে?’
দু’দিন আগেই আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গত টেনে ‘অপারেশন বেঙ্গল’-এর কথা শোনা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে। এ দিনও তার অন্যথা হয়নি। এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, ‘উনি শুধুমাত্র বিভাজনের রাজনীতি করতে জানেন। এতে দেশ আরও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এ ভাবে মানুষের মধ্যে বিভাজন করে বাংলায় কোনও লাভ হবে না।’
বিষয়টি নিয়ে চন্দ্রিমার সংযোজন, ‘অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কোনও রাজনীতি হোক, আমরা সেটা চাই না। আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের স্বার্থে এক সুরে কথা বলছেন, সেখানে সেই সময়েই সিঁদুর প্রসঙ্গে নারী সম্মান নিয়ে খেলা করছেন?... এই অপারেশন বেঙ্গলের মানে কী? আপনারা আসলে জোর জবরদস্তি বাংলাকে দখলের চেষ্টা করছেন।’