রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শ্বশুরবাড়ি নেই, জামাইষষ্ঠী হয়তো হবে না! রবিবার সকালেই আক্ষেপ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই আক্ষেপ মিটিয়ে স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারে মামারবাড়িতে জামাইষষ্ঠী সারতে গেলেন তিনি।
মুকুন্দপুরের অর্জুন পার্কে রিঙ্কুদেবীর মামারবাড়ি। সস্ত্রীক শীলভিলায় পৌঁছে যান দিলীপ। রিঙ্কুদেবীর পরনে গাঢ় পেঁয়াজ রঙা হ্যান্ডলুম শাড়ি। সাদা পোশাকে ছিলেন দিলীপ। এদিন উলুবেড়িয়ায় তাঁতিবেড়িয়াতে আরএসএসের তরফে ডাকা হয়েছে তাঁকে। দিলীপ সেখানেও যাবেন বলে খবর।
সদ্য মাথায় টোপর চাপিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। হিসেব মতো এটাই তাঁর প্রথম জামাইষষ্ঠী। শ্বশুরবাড়িতে ভূরিভোজ সারার কথা তাঁর। কিন্তু সেই সুখ নেই প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের কপালে! কারণ তাঁর শ্বশুরবাড়িই নেই। দিলীপের কথায়, “আমার শ্বশুরবাড়িই নেই, এমন জামাই আমি। দেখি কোথায় জামাইষষ্ঠী করি।” এরপরই দেখা যায় মুকুন্দপুরে মামাশ্বশুরের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ।
কয়েক বছর আগে হলেও নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকত না তাঁর। কারণ, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের রণনীতি ঠিক করতে কলকাতা এসেছেন বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহ। দিনভর তাঁর ঠাসা কর্মসূচি। একসময় তিনি রাজ্যে এলে তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী’ হতেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু কালের নিয়মে আজ তিনি দলে কার্যত ‘কোণঠাসা’। ডাক পান না দলীয় অনুষ্ঠানে। উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর সভার পর শাহের কর্মসূচিতেও ব্রাত্য তিনি। দলীয় কর্মসূচির বদলে জামাইষষ্ঠী পালন করলেন ‘ঘোর সংসারী’ দিলীপ ঘোষ।