প্রসেনজিত্ মালাকার ও অয়ন শর্মা: আইসিকে কুত্সিত গালিগালাজ করে এখন খবরে অনুব্রত মণ্ডল। এক সময় বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত ওই আচরণকে ভালো ভাবে নেয়নি পুলিস ও দল। দলের চাপে পড়ে তিনি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি আজ তাঁর এসডিপিও-র অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে তিনি সেই হাজিরা সম্ভবত এড়িয়েই গেলেন।

অনুব্রত বদলে এসিডিপিও-র অফিসে এলেন অনুব্রত ছায়াসঙ্গী গগন সরকার ও তাঁর আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য। তারা পুলিসের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন। গগন সরকার সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, অনুব্রত অসুস্থ এবং বেড রেস্টে রয়েছেন। তার থেকেও চাঞ্চল্যকর তথা দিলেন গগন সরকার। তিনি বলেন, অনুব্রতর যে অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে তার তৈরি করা হয়েছে AI দিয়ে। 

নিজের বেলাগাম গালিগালাজের জন্য রীতিমত ক্ষমা চেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার পর তাঁরই ঘনিষ্ট গগন সরকারের ওই দাবি চাঞ্চল্য ফেলে দেওয়ার মত বিষয়। শনিবার অসুস্থতার অজুহাতে পুলিসের তলব এড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তিনি পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন।  আর রবিবার এসডিপিও-র অফিসে গেলেন না আরও অসুস্থতার অজুহাতে।

সংবাদমাধ্যমের সামনে গগন সরকার বলেন, অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ। বাড়িতে রয়েছেন। বিছানায় রয়েছেন। আমি এখানে ব্যক্তিগত কাজে এসেছি। কোনও ফোন কল অনুব্রত মণ্ডল করেননি। যা করা হয়েছে তা এআই-এর মাধ্যমে করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি থাকতে পারে, দলের একাংশ থাকতে পারে। কে যুক্ত রয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।

পুলিস সূত্রে খবর, অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী অসুস্থতার কাগজ জমা করেছেন। সেখানে বেড রেস্ট উল্লেখ করা হয়েছে। সেই কারণে পুলিস আর পুনরায় নোটিশ করবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া আর কোন বিষয়ে তেমন কোন মন্তব্য করেননি অনুব্রতর আইনজীবী। বলা যেতে পারে তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে মুখে না বললেও কার্যতো স্পষ্ট করে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল আসবেন না হাজিরা দিতে । অন্যদিকে আগাম জামিনের আবেদন করবেন কি করবেন না সে বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তিনি বারবার একটি বিষয়ের উপরে স্থির ছিলেন যে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে কে ওই চক্রান্ত করেছে কেন করেছে সে বিষয়ে কোন উত্তর তিনি দেননি।

অন্যদিকে, বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে কোনও শোরগোল বা মানুষের আনাগোনা নেই। নীচের তলায় দেখা গেল পুলিসি প্রহরা। সেই ঘরে অনুব্রতর চেয়ার ফাঁকা। বসে রয়েছেন কয়েকজন পুলিসকর্মী। এখান দেখার বিষয় হল বেলা বাড়লে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্য কোথাও যান কিনা।