আলিপুরদুয়ার ও দইওয়ালা, জামাইষষ্ঠীর সকাল থেকেই শ্বশুর-জামাইদের লম্বা লাইন, কী আছে এই দোকানের দইয়ে? ...
আজকাল | ০১ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'দই দই, ভাল দই'। মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই গল্প ? সেই ছোটো বেলার পাঠ্যসূচির 'অমল ও দইওয়ালা'। সেই ভাল দইয়ের খোঁজেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে 'দইওয়ালা'র দোকানে লম্বা লাইন। এই দোকানের বিভিন্ন স্বাদের সুস্বাদু দই মন কেড়েছে শহরবাসীর। ফলে জামাইষষ্ঠীর দিন দইওয়ালা'র দই কিনতে আলিপুরদুয়ার শহরের কলেজ হল্ট এলাকার এই দোকানের সামনে ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়েছেন জামাই ও শ্বশুর ও দই প্রেমীরা। কারণ, দোকানে পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের দই। টক ও মিষ্টি দই ছাড়াও এই দোকানে মিলছে আম দই, ক্ষীর দই, চন্দ্রচূড় দই বা দানাদার দইয়ের মতো ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের দই।
তবে জামাইষষ্ঠীতে আম দই ও ক্ষীর দইয়ের চাহিদাই বেশি। এদিন জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে দামে ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে দইওয়ালা। রবিবার সকাল থেকে সেই ছাড়ের সুবিধা নিতে দোকানের সামনে ঈর্ষণীয় ভিড়। নতুন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে হাতে দইয়ের হাঁড়ি নিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে আসছেন নতুন জামাইরা।
এই দোকানে দই কিনতে এসেছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ অনুপ দাস। অনুপ দাস বলেন, শহরের বুকে অনেক প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেখানে মিষ্টি ও ক্ষীর দই মিলছে। তবে এই দোকানের দোকানের দইয়ের স্বাদ একদম আলাদা। ফলে সবার মতো আমিও এই দোকান থেকে দই কিনতে এলাম। শ্বশুর বাড়ির জন্য ১ কিলো ক্ষীর দই ও এক কিলো আম দই নিয়েছি। আশা করছি এই দই শ্বশুর বাড়ির লোকেদের মন জয় করবে।
দোকানের কর্ণধার সমীর ঘোষ বলেন, জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সকাল থেকে প্রচুর মানুষ দই কিনছেন। বিশেষ করে আম ও ক্ষীর দই এর চাহিদা অনেক বেশি। দিনভর আরও মানুষ দই কিনবেন। আমরা নিজেরাই খাঁটি দুধ দিয়ে দই তৈরি করি। স্বাদের দিকে কোনো ত্রুটি রাখি না। ফলে আমাদের দোকানের দই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রচুর লোক দই নিতে আগাম বুক করেছেন।