শ্রেয়সী পাল: শনিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের ডোমকল টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কামরুজ্জামানের বাড়িতে সকেট বোমা মারার অভিযোগে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ডোমকল থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার দুপুর পর্যন্ত টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বা তাঁর পরিবারের তরফ থেকে এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
সূত্রের খবর, গতকাল রাত দু'টো নাগাদ ডোমকল টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কামরুজ্জামানের কুঠির মোড় এলাকার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু দুষ্কৃতী সকেট বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। বোমাটি তাঁর বাড়ির সিঁড়ি ঘরের নিচে ফাটে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার সময় কামরুজ্জামান নিজের পরিবার নিয়ে বাড়িতেই ঘুমাচ্ছিলেন।
যদিও বোমার আঘাতে তৃণমূল নেতার পরিবারের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে কী কারণে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতার বাড়িতে সকেট বোমা ছোড়া হল তা ভাবিয়ে তুলেছে সকলকে। স্থানীয় বাসিন্দা দিপালী কর্মকার বলেন, 'গতকাল রাত দু'টো নাগাদ আমরা যখন ঘুমিয়ে ছিলাম সেই সময় হঠাৎই প্রচন্ড জোরে একটি শব্দ শুনতে পাই। প্রথমে আমরা মনে করেছিলাম কোনও গাড়ির টায়ার ফেটে গিয়েছে। তবে আজ সকালে জানতে পারি কামরুজ্জামানের বাড়িতে কেউ বা কারা বোমা মেরেছে।' প্রসঙ্গত ডোমকল পুরসভার পুরসভা বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত কামরুজ্জামানের স্ত্রী টুলুয়ারা বিবি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন।
ডোমকল টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিজের বাড়িতে বোমা মারার ঘটনা সম্পর্কে বলেন, 'আমার অনুমান আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে আতঙ্কিত করার জন্যই রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা বোমা মেরেছে। তবে এই দুষ্কৃতী দল সুযোগ পেলে আমার উপর প্রাণঘাতী হামলা করতে পারে।' বাড়িতে হামলার ঘটনার সঙ্গে দলীয় কোনও কোন্দলের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন কামরুজ্জামান। তিনি বলেন,' সম্প্রতি স্থানীয় কিছু লোকজন সমাজমাধ্যমে কিছু কথা লিখছেন। আর সেই সুযোগে ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য এলাকার কিছু দুষ্কৃতী ডোমকলকে ফের একবার অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সেই কারণেই আমার বাড়িতে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে।'
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম বলেন ,'পুলিশ -প্রশাসনকে আমিও ঘটনাটি জানিয়েছি। তাঁরা যেন সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন।'