আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকচর সন্দেহে শনিবার তপসিয়া থেকে এনআইএ একজনকে আটক করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃত মহম্মদ ওয়াকিল পেশায় হোটেলের এক নিরাপত্তারক্ষী। নিউটাউনে এনআইএ-র অফিসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তে পরতে পরতে রহস্য উঠে এসেছে।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ধৃত মহম্মদ ওয়াকিলের বাড়ি এন্টালির ভোলাচাঁদ রোডে। হুগলির চাঁপদানীর বিএমবি সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে সে গত এক বছর ধরে কাজ করছিলেন। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে কাজ করছিলেন তিনি। অনিয়মিত থাকায় চলতি বছরের তিন মাস তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। আবার এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে কাজে যোগ দেন।
শনিবার সকালে সিকিউরিটি কোম্পানির ডিরেক্টর বৃহস্পতি বেহেরা তাঁর এক কর্মির থেকে ফোন পেয়ে জানতে পারেন যে, মহম্মদ ওয়াকিল-কে আটক করেছে এনআইএ।
পাকিস্তানের গুপ্তচর ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা গ্রেপ্তারের পর একাধিক জায়গায় থেকে পাক চর ধরা পরে। এরপরই শনিবার সারা দেশে এনআইএ মোট ১৫ টি জায়গায় তল্লাশি করে। কলকাতায় মোমিনপুর, পার্ক স্ট্রিট, তপসিয়া-সহ একাধিক হোটেলে অভিযান চালায়।
জানা গিয়েছে, পাক গুপ্তচর সিআরপিএফ জওয়ান মোতিরাম জাট গ্রেপ্তাতারের সূত্র ধরে কলকাতায় তল্লাশি করে ওয়াকিল পাকড়াও করে এনআইএ।
সিকিউরিটি কোম্পানির ডিরেক্টর জানান, তিনি একজন এক্স আর্মি। তাঁর সিকিউরিটি এজেন্সিতে বর্তমানে একশ জন সিকিউরিটি গার্ড কাজ করছেন। কুড়িটি সাইটে কাজ করা হয়। সিকিউরিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁরা পরিচয় পত্র, আধার, ভোটার, প্যান কার্ড জমা নেন। এনইএফটির মাধ্যমে ব্যাঙ্কে কর্মিদের বেতন ঢোকে। ওয়াকিলের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে সিকিউরিটি র কাজ দেওয়ার ক্ষেত্র সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।