দিল্লির ব্যক্তি টিকিট পরীক্ষা করছিলেন লক্ষ্মীকান্তপুরে, স্রেফ নেমপ্লেট দেখেই ধরা পড়ল সব মিথ্যে, জানলে অবাক হবেন
আজকাল | ০১ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরনে কালো প্যান্ট ও সাদা জামা। নিজেকে টিকিট পরীক্ষক পরিচয় দিয়েই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে রেল যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছিলেন বছর পয়তাল্লিশের এক ব্যক্তি। জামার বুকে লাগানো ছিল একটি নেমপ্লেটও। লেখা ছিল চিফ টিকিট ইন্সপেক্টর (CIT) হাওড়া। দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তিনি ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক।
লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে থাকা সরকারি টিকিট পরীক্ষকদের বিষয়টি নজরে আসে। পরীক্ষকের জামার বুকে লাগানো নেমপ্লেটটি দেখেই তাদের সন্দেহ হয়। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার টিকিট পরীক্ষক অথচ নেমপ্লেটে লেখা আছে হাওড়া। তারপরেই তারা মধ্যবয়স্ক ওই টিকিট পরীক্ষককে চেপে ধরতেই তিনি জানান, কোনও এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি এই কাজটি পেয়েছেন টাকার বিনিময়ে। তারপরেই লক্ষীকান্তপুর স্টেশনে থাকা সরকারি টিকিট পরীক্ষকরা বারুইপুর আরপিএফ কে খবর দেন। বারুইপুর থেকে আরপিএফ-এর একটি টিম গিয়ে ওই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে নিয়ে আসে এবং রাতে বারুইপুর জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের নাম সুপ্রতীক কুমার ব্যানার্জি। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। বাড়ি দিল্লিতে। সে কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ বারাসাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক সুপ্রতীক কুমার ব্যানার্জিকে রবিবারই শিয়ালদহ আদালতে তুলবে বারুইপুর জিআরপি। তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক কার কাছ থেকে এই কাজ করার পারমিশন নিয়েছিল, এবং এর আগে সে কোথায় কোথায় এই কাজ করেছিল এবং এর পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবে বারুইপুর জিআরপি।।