সংখ্যালঘুদের তোষণের অভিযোগ এবং অনুপ্রবেশের অভিযোগ, এই দুই অস্ত্রে তৃণমূল সরকারকে ধরাশায়ী করতেন চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে সাফ বলে দিলেন, ‘২৬-এর ভোট শুধু পশ্চিমবঙ্গের ভোট নয়। দেশের সুরক্ষার ভোট।’ তাঁর দাবি, অনুপ্রবেশ আটকাতে একমাত্র বিজেপিই পারে।
এ দিন শাহের বক্তৃতায় বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে বাঙালি হিন্দুর কথা। বরাবরের মতোই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলেছেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বাংলাদেশিদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছেন। অবাধে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। দেশের সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক। একমাত্র বিজেপিই অনুপ্রবেশ আটকাতে পারে। ২৬-এর ভোট দেশের সুরক্ষার ভোট।’
মুর্শিদাবাদের হিংসার সঙ্গে তৃণমূল সরাসরি যুক্ত বলেও দাবি করেন শাহ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে অশান্তি করিয়েছেন। তৃণমূলের মন্ত্রীরা এর সঙ্গে যুক্ত আছেন।’ তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে শাহ টেনে আনেন বিএসএফের প্রসঙ্গও। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, বিএসএফ গিয়ে হিন্দুদের রক্ষা করত বলে তৃণমূল সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করেছিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর দাবি, রিগিংয়ের মাধ্যমেই ভোটে জেতে তৃণমূল। শাহের তোপ, ‘রিগিং ছাড়া ভোট হলে তৃণমূল শুধু হারবে তাই নয়, মমতার জামানত জব্দ হয়ে যাবে।’ দুর্নীতি ইস্যুতেও শাহ আক্রমণ শানান তৃণমূলকে। আবাস থেকে রেশন, মিড-ডে মিল থেকে কয়লা, বালি, গোরুপাচারের অভিযোগ - শাহের তোপে ছিল সবকিছুই।
অমিত শাহের ভাষণে উঠে এসেছে ‘অপারেশন সিঁদুরের’ প্রসঙ্গ। শাহের দাবি, ‘মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে মমতা অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করেছেন।’ বাংলার মা-বোনের কাছে তাঁর আহ্বান, ‘মমতাকে সিঁদুরের দাম বুঝিয়ে দিন।’