প্রসূন বিশ্বাস: ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে ধাক্কা খেল ইন্টার কাশী। মাসখানেক আগেই ইন্টার কাশীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট (CAS)। যার জেরে চার্চিল ব্রাদার্সকে আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব দেওয়ার ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি হয়। পালটা চার্চিল ব্রাদার্স এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছিল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে। জানা গিয়েছে, AIFF চার্চিলের সেই আবেদনে সায় দিয়েছে। এ ব্যাপারে মুখ খুলেছে ইন্টার কাশীও।
চার্চিল ব্রাদার্সের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে AIFF। ইন্টার কাশীর বিরুদ্ধে গোয়ার এই ক্লাবের সঙ্গে আবেদন জানিয়েছিল রিয়াল কাশ্মীর, নামধারী এফসিও। অভিযোগ, মারিও বার্কো নামে এক বিদেশি ফুটবলারকে রি-রেজিস্ট্রার করিয়েছিল ইন্টার কাশী। আই লিগের নিয়ম অনুসারে কোনও ক্লাব বিদেশি ফুটবলারকে এভাবে রি-রেজিস্ট্রার করাতে পারে না। আপিলের অনুমতি থাকায় তিন ক্লাবই ইন্টার কাশীর বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তোলে।
আপাতত ক্লাবগুলির অভিযোগে সাড়া দিয়েছে AIFF। এবার ফেডারেশন যদি চার্চিলের পক্ষে রায় দেয়, তাহলে চার্চিল-সহ বাকি দুই ক্লাব ইন্টার কাশী ম্যাচ থেকে ওয়াকওভার পেয়ে যাবে। যার অর্থ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে চার্চিল। তবে আপাতত চার্চিলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে পারছে না ফেডারেশন। কারণ তাদের সেই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে CAS।
প্রশ্ন হল, আন্তর্জাতিক আদালতের স্থগিতাদেশের উপর কি ফেডারেশন কিছু বলতে পারবে? চার্চিল চাইছে, তাদের পক্ষেই রায় দিক ফেডারেশন। যদিও এ ব্যাপারে বিবৃতি জানিয়েছে ইন্টার কাশীও। তারা তাদের সোশাল মিডিয়ায় লেখে, ‘ইন্টার কাশী AIFF-এর সিদ্ধান্তকে স্বীকার করে। সময়মতো বিষয়টি নিষ্পত্তি করার ভাবনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা ক্রীড়া আদালতের (CAS) দ্বারস্থ হব।’ সুতরাং বিষয়টি যে সহজে মেটার নয়, তা বোঝা যাচ্ছে।