টুনটুনির বই পড়বে গোটা বিশ্ব, উপেন্দ্রকিশোরের অমর সৃষ্টি পড়া যাবে ইংরেজি হরফে
প্রতিদিন | ৩১ মে ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: টুনটুনির গল্প। শুনলেই শিশুকালের একরাশ স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে মনে চলে আসে। আসলে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘টুনটুনির গল্প’ যে এখনও বাঙালির বাল্যকালের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলা হরফের সেই নস্টালজিক স্বাদ এবার ইংরেজিতে। ইংরেজি ভাষায়। ইংরেজি হরফে। অনুবাদক সাহিত্যিক কমলিনী চক্রবর্তী। প্রকাশক রৌণক পাবলিকেশন। ইংরেজি বইটির নাম, ‘Tailor Bird Tales’। বইটিতে রয়েছে মোট কুড়িটি গল্প।
অনুবাদ সাহিত্যের কথা উঠলে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে নানা অস্বস্তিকর প্রশ্ন। এটা কি বাংলার হুবহু অনুবাদ? না কি প্রচলিত ধারা থেকে অনুবাদ সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে চলে গিয়েছে? ঠিক এইখানেই পাঠকের নানা কৌতূহলের উত্তর দিলেন কমলিনী। তাঁর কথায়, “কিশোর মনের চাহিদাকে মনে রেখেই অনুবাদের ধারা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। কখনওই যাতে মূল গল্প থেকে বিচ্যুত না হই সে দিকে নজর রেখেই অনুবাদের কাজটি সম্পূর্ণ করেছি।” আসলে, অনুবাদ এমন একটি পথ বা মাধ্যম, যা দিয়ে সাহিত্যের ইতিহাস এবং একটি ভাষা-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনের নানা পরিপ্রেক্ষিত বোঝা সম্ভব। অনুবাদ কেবল একটি পদ্ধতি বা সেই পদ্ধতিজাত উৎপাদন নয়, অনুবাদ হল ইতিহাসকে বোঝার একটা মাধ্যম। আর এখানেই কমলিনীর সাফল্য।
১৯১০ সাল থেকে উড়ে চলা সেই টুনটুনি পাখিটার নস্টালজিক পথচলা এবার ইংরেজিতেও। সোমবার কলকাতার অক্সফোর্ড বুক স্টোরে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তর কথাতেও উঠে এল সেই নস্টালজিকতাই। সাহিত্যিকের বিশ্বাস, “আজ ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। আগামীতে আরও অনেক ভাষাতেও নিশ্চয়ই হবে।” প্রচেতর কথায়, “এ-পাখি আরও অনেক বছর উড়ে চলবেই…”। এদিনের প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রকাশক রূপা মজুমদার, প্রসাদরঞ্জন রায়, মানসী রায়চৌধুরি, রীতা ভিমানি, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রসাদরঞ্জন রায় বলেন, “বাঙালির হৃদয়ে জড়িয়ে রয়েছে ‘টুনটুনির কথা’। আমরা বড়রা একরকমভাবে দেখি, ছোটদের কাছে এই ভালোবাসার অন্য টান। ইংরেজি ভাষায় বইটার লেখা হওয়ায় শুধু দেশের নয়, বিদেশের কাছেও সমাদৃত হবে।” মানসীর বিশ্বাস, আজকের দিনেও উপেন্দ্রকিশোরের প্রতিটি লেখা সমানভাবে শিশু-কিশোরের পাশাপাশি বড়দের কাছে আকর্ষণীয়। এই বই পড়ার প্রতি আকর্ষণ নিঃসন্দেহে বাড়বে নয়া উদ্যোগে। কারণ, এখন ইংরেজি ভাষার পাঠকদের কাছেও বইটি পৌঁছে যাবে।