• সৃজিতের ছবির তিনটি চরিত্রে দেবদূত! বাংলার ইতিহাস সংরক্ষণে কী বড় পদক্ষেপ করতে চলেছেন?
    আনন্দবাজার | ৩১ মে ২০২৫
  • ছোট পর্দার নিয়মিত অভিনেতা তিনি। মঞ্চেও অভিনয় করেন দাপিয়ে। সক্রিয় ভাবে করেন বাম রাজনীতি। অভিনেতা দেবদূত ঘোষ এ সবের পাশাপাশি ফের দেখা দিতে চলেছেন বড় পর্দায়।

    শোনা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-তে দেখা যাবে তাঁকে। লুক সেটে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আগামী ১১জুন থেকে শুটিং শুরু করবেন। আনন্দবাজার ডট কমকে খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন ছবির প্রযোজক রানা সরকার। তিনি জানিয়েছেন, দেবদূতকে রাজা গজপতি মহারাজ প্রতাপাদিত্যের ভূমিকায় দেখা যাবে।

    দেবদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই খুশির আমেজ তাঁর গলায়। বললেন, “সৃজিতের পরিচালনায় কাজ নতুন নয়। ওঁর ‘এক যে ছিল রাজা’ ছবিটিতেও ছিল ইতিহাসের ছোঁয়া। সেখানে অভিনয় করেছিলাম। রানার সঙ্গেও কাজ করেছি ওঁর ধারাবাহিক ‘মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য’-এ। আমি ওখানে ‘নিত্যানন্দ’ হয়েছিলাম। আবার ওঁদের সঙ্গে কাজ হচ্ছে। ভাল লাগছে।”

    সৃজিতের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিটিতে তিনটি পর্যায়ে চৈতন্যদেবের জীবন দেখানো হবে। একটি পর্যায়ে চৈতন্যদেব সরাসরি আসবেন। একটি পর্যায়ে ছবির ভিতর জীবনী ছবি তৈরির গল্প দেখানো হবে। আর একটিতে রামকৃষ্ণ দেবের সময়ও দেখানো হবে। এই তিনটি পর্যায়ে ভিন্ন তিনটি চরিত্রে দেখা যাবে দেবদূতকে।

    চৈতন্যদেব সে সময় ধর্মীয় কারণে কোণঠাসা। তাঁকে সমর্থন জানাতে ভয় পাচ্ছে সমাজ। সেই সময় পণ্ডিতদের চোখরাঙানি পাত্তা না দিয়ে গজরাজ খোলাখুলি বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তককে সমর্থন জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ছবি তৈরির সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখা যাবে অভিনেতাকে। তৃতীয় পর্যায়ে তিনি রামকৃষ্ণ দেবের ঘনিষ্ঠ অনুচর। এ-ও শোনা গিয়েছে, যথেষ্ট চর্চিত এক অভিনেত্রী নাকি পর্দায় তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন। যদিও তাঁর নাম এখনই প্রকাশ করতে রাজি নন অভিনেতা বা প্রযোজক।

    এখানেই শেষ নয়। দেবদূত ঘোষ শীঘ্রই আরও একটি বড় কাজে হাত রাখতে চলেছেন। বাংলার লোকশিল্প, সংস্কৃতি, গান, হাতের কাজ অবলুপ্তির পথে। সে সব পুনরুদ্ধারে ব্রতী হচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে দেবদূতের বক্তব্য, “বাংলার লোকশিল্প ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। এটা ভাল লাগছে না। তাই নৃতত্ত্ববিজ্ঞানী সম্রাট চৌধুরী এবং আর এক চিত্রগ্রাহককে নিয়ে ভ্লগ বানাতে চলেছি। ইউটিউবে দেখা যাবে। এ ভাবেও যদি হারানো ঐতিহ্য ধরে রাখা যায়।” জানিয়েছেন, অভিনয়ের ব্যস্ততা সরিয়ে প্রতি মাসে এক বা দু’বার বেরিয়ে পড়বেন। আনাচকানাচে ঘুরে ক্যামেরাবন্দি করবেন বাংলার সম্পদ। বাঁকুড়া দিয়ে শুরু করবেন ভ্লগ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)