ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট চাই! ইউনূস সরকারকে এক মাস সময় দেবে খালেদার দল, না হলে আন্দোলনে নামার ডাক
আনন্দবাজার | ৩১ মে ২০২৫
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে সুর আরও চড়াল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করার জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে এক মাস সময় দিতে চলেছে তারা। তবে এই সময়ের মধ্যে সরকারের তরফে নির্বাচনী রূপরেখা বা রোডম্যাপ প্রকাশ করা না-হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছে বিএনপি।
গত বুধবার জাপানের টোকিয়োয় একটি অনুষ্ঠানে ইউনূস জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে হতে পারে। গত সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের পর তাঁর প্রেসসচিব শফিকুল আলমও একই কথা জানিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, বুধবারই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে ঢাকায় সমাবেশ করে বিএনপি। ওই সমাবেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তথা বিএনপির অন্যতম শীর্ষনেতা তারেক রহমান। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। আবারও আমরা বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
‘প্রথম আলো’ বিএনপি-র একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, জুন মাসে বড় কোনও কর্মসূচির পথে হাঁটছে না খালেদার দল। তবে জুলাই মাস থেকে নতুন কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সরকার ভোট নিয়ে ‘ইতিবাচক’ কিছু ঘোষণা না-করলে লাগাতার আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ‘প্রথম আলো’কে বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করব। আমরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করব, যাতে সরকারের বিবেচনাবোধ জাগে। আমরা মনে করি, যত দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দিকে যেতে পারে, সেটি ততই দেশের জন্য মঙ্গল হবে।”
গত বুধবার ইউনূস বলেছিলেন, “মানুষ তাঁদের (রাজনীতিক) বলতে চাইছে যে, নির্বাচন যখন হওয়ার, তখন হবে। কিন্তু রাজনীতিকেরা ক্ষমতার আসনে বসার জন্য বড্ড অধৈর্য হয়ে পড়ছেন।” তার পরের দিন আবার ইউনূস দাবি করেন, একটি দলই ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে। ইউনূস কোনও দলের নাম না-নিলেও তিনি যে বিএনপি-র দিকে ইঙ্গিত করছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যায়।