বিধান সরকার: হুগলির শ্রীরামপুরের কানাইপুর এলাকায় নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সরকারের হয়ে সওয়াল করবেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার শ্রীরামপুর আদালতে পোকসো কোর্টে ওই মামলা উঠবে। সেখানেই রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করবেন কল্যাণ।
শনিবার সন্ধ্যায় নগর কানাইপুরে নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে যান শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। নাবালিকার দিদিমা ও দিদি সাংসদকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের আশ্বস্ত করেন, সরকার তাদের পাশে আছে। সব রকম সাহায্য করা হবে। আইনিপথেও অভিযুক্তের যাতে মৃত্যুদণ্ড হয় তার জন্য সরকার লড়াই করবে।
সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে পাঠিয়েছেন। সরকার এই পরিবারের পাশে আছে। অভিযুক্তের যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয় তার ব্যবস্থা করা হবে। কারণ এটা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। ঘটনাটা খুবই নির্মম। ভাবা যাচ্ছে না এভাবে একটা বাচ্চা মেয়েকে এমন করে খুন করবে। দুষ্কৃতীরা সমাজে মিশে থাকে, এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করে। এদের বিরুদ্ধেই লড়াই। আমি আরজি করে সময়ও একই কথা বলেছি।
উদেশ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে নপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকার মৃতদেহ। পুলিস সূত্রে খবর, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ওই কিশোরীর বয়স তেরো বছর। বাড়ি, শ্রীরামপুরের কানাইপুরে। ঘড়িতে তখন ৪টে। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাত্ নিখোঁজ হয়ে যায় সে। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রীতিমতো ডগ স্কোয়াড নিয়ে সঙ্গে তল্লাশি শুরু করে পুলিস।
কীভাবে মৃত্যু? পরিবারের লোকেদের দাবি, যেদিন নিখোঁজ হয়ে যায়, সেদিন ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে যান অসীম মজুমদার নামে পাড়ারই এক যুবক। তারপর থেকে সে বেপাত্তা। খোঁজ মিলছিল না ওই নাবালিকারও। ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করে পুলিস। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি।