গত মাসে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই প্রভু জগন্নাথকে দর্শন করার জন্য দিঘায় ভিড় ভক্তদের। সামনেই রয়েছে রথযাত্রা। দিঘার মাটিতে এই প্রথম বার গড়াবে প্রভু জগন্নাথদেবের রথের চাকা। ফলে প্রচুর ভক্তসমাগম যে হবে, তাও নিশ্চিত। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু। শনিবার দিঘায় রথযাত্রা নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠক করল জেলা প্রশাসন।
শনিবার প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে এই বৈঠক চলে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, মন্দির ট্রাস্টের সদস্য-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এই বৈঠকে রথের দিন জগন্নাথ মন্দিরের যাবতীয় আয়োজন ও নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
২৭ জুন রথযাত্রা। শুক্রবার। এর পরই শনি ও রবিবার ছুটির দিন। তাই রথযাত্রা দেখতে অনেক পর্যটকই দিঘায় আসবেন বলে মনে করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ইসকনের তরফ থেকে দিঘার রথযাত্রার অনুষ্ঠানে ইউক্রেন, আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০০ জন বিদেশি ভক্ত আসার কথাও জানানো হয়েছে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে রয়েছে মোট আটটি গেট। রথ বর্তমানে যে জায়গায় রয়েছে তার পাশেই ৬, ৭ এবং ৮ নম্বর গেট। ওই দিন কোন গেট দিয়ে রথ বেরোবে তার জন্য আগামী ১০ তারিখ দিঘায় অনুষ্ঠিত হবে আরও একটি প্রস্তুতি বৈঠক।
প্রত্যেকবারই রথে বৃষ্টি হওযার সম্ভাবনা থাকে। তাই আশেপাশের নিকাশি ব্যবস্থাও এ দিন খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। আগামী ১২ তারিখ দিঘায় অনুষ্ঠিত হবে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। সেই দিনও দিঘায় থাকবে বিশেষ আয়োজন। রথের সময়ে জগন্নাথের ভোগ নিয়ে মন্দির ট্রাস্টের সদস্য তথা কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমন দাস বলেন, ‘রথের দিন সকালেই ৫৬ ভোগ দেওয়া হবে। এর পর রথে প্রভু উঠলে শুকনো ভোগ দেওয়া হবে।’
এ দিন মন্দির-সহ আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ কর্তারা। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘আমরা দিঘার রথযাত্রা নিয়ে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়েছি। রথযাত্রার দিন যাবতীয় প্যাকেট জল, বিদ্যুৎ-সহ সমস্ত কিছু প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’