বাংলাদেশের মসনদে শেখ হাসিনা থাকাকালীনই ভারতে ইলিশ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি করে পদ্মার ইলিশ ভারতে রপ্তানি শুরু হয় ঠিকই। তবে তা ওই পুজোর আগে। আর গত বছর থেকে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি হয়েছে, পদ্মার ইলিশে আগ্রহ হারিয়েছেন অনেকেই। বরং বাজারে এখন মিয়ানমারের ইলিশে ছয়লাপ। জামাইষষ্ঠীর বাজারে এ বার মিয়ানমারের ইলিশই দেদার বিকোচ্ছে।
রবিবার জামাইষষ্ঠী। তার আগে বাজারে হেব্বি বিকোচ্ছে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা ইলিশ। কাকদ্বীপ থেকে বনগাঁ, শনিবারের বাজারে ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২০০, দেড় কেজি ওজনের ইলিশের বেশ কাটতি। এমনকী হাজার হাজার টাকা খরচ করেও সে মাছ কিনছেন খাদ্যরসিকরা।
তবে জামাইষষ্ঠীর হুজুগে অনেকেই মোটা টাকা খরচ করে এ মাছ কিনলেও মাছ ব্যবসায়ীরা খুব একটা স্বস্তিতে নেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের মাছ ব্যবসায়ী খোকন দাস জানান, মিয়ানমারের ইলিশের দাম বড্ড বেশি। ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ষষ্ঠী বলে লোকজন কিনলেও লম্বা রেসে এ ‘ঘোড়া’ নিয়ে দৌড়োনো যাবে কি না, বোঝা যাচ্ছে না।
কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘এ সময়ে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমাদের নিজেদের ইলিশ পাওয়া সম্ভব নয়। তাই বাইরের দেশের উপর নির্ভর করতেই হচ্ছে।’ মাছের পাইকারি ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ আমদানি করেছেন। সেই মাছ এখন রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে বিক্রিও হচ্ছে। তবে দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।