সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচিতে বঙ্গে আসছেন অমিত শাহ। রবিবাসরীয় বৈঠকে দলের রণকৌশল স্থির করা হবে বলেই খবর। আর সেই বৈঠকেই নাকি ‘ব্রাত্য’ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা। এই টানাপোড়েনের মাঝে আবার জল্পনায় ঘৃতাহুতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
এখন আর দলে দিলীপ ঘোষের কোনও কোনও পদ নেই। দলীয় কর্মসূচি থেকেও রয়েছেন বেশ দূরে দূরে। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসেন নরেন্দ্র মোদি। সেদিন আলিপুরদুয়ারের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি প্রাক্তন বঙ্গ বিজেপি সভাপতিকে। পরিবর্তে বাড়ি বসে টিভিতে শুনেছিলেন মোদির বক্তৃতা। সোশাল মিডিয়ায় নিজেই সে ছবি শেয়ার করেছিলেন দাপুটে নেতা। শাহী সফরেও নাকি ‘ব্রাত্য’ দিলীপ। নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেল থেকে বিজেপি নেতার বাড়ির দূরত্ব সাকুল্যে দেড় কিলোমিটার। সেখানে ডাক না পাওয়া নিয়ে শনিবার সকালে অভিমানের সুর শোনা যায় দাপুটে নেতার গলায়। এদিন তিনি বলেন, “আগে যেতাম। তখন সভাপতি ছিলাম। উনি এলে স্বাগত জানাতাম। ওঁর সঙ্গে থাকতাম। এখন অন্যরা সেইসব দায়িত্ব সামলায়। আমি কার্যকর্তাদের সঙ্গেই থাকি আজকাল। বড় নেতারা আমাকে না ডাকলে আমি যাই না। বড় নেতাদের একটা মানসম্মান আছে। ওঁরা যাদের ডাকেন তাঁরা যান। আমি যাই না। আমার যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হলে তারা ডাকেন। কী করতে হবে তারাই বলেন। আমি ওটা পালন করি।”
মোদি, শাহের অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়ায় কী অভিমানী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)? তিনি বলেন,”কীসের অভিমান? একটা ট্রেন্ড আছে নেতার পিছনে পিছনে ঘোরা। কারণে অকারণে নেতার পিছনে ১০০-২০০ লোক দাঁড়িয়ে থাকে। নেতা দেখাও করে না। কিছুই করে না। এটা একটা কালচার। আপনারা হয়তো ভাবেন এটাই ঠিক। বিজেপির একটা ডিসিপ্লিন আছে যে প্রোগ্রামে কাউকে যেতে বলা হয় কর্মীরা সেখানেই যান। কোন নেতা কোথায় যাবে, সেটা দল ঠিক করে। আমি ওটা মেনে চলি। ওটাইকেই আমরা ডিসিপ্লিন বলি।”
এই টানাপোড়েনের মাঝে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “দিলীপদা আমাদের পার্টির নেতা। উনি সর্বভারতীয় সভাপতি পদে শেষ ছিলেন। ওঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সুকান্ত মজুমদারের নেই। সর্বভারতীয় স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেটা আপনারা পরে জানতে পারবেন কী হয়েছে।” রাজ্য সভাপতির মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।