হাজিরা এড়ালেন ‘অসুস্থ’ কেষ্ট, ফের ডেকে পাঠাল পুলিশ
প্রতিদিন | ৩১ মে ২০২৫
দেব গোস্বামী, বোলপুর: আইসিকে কদর্য ভাষায় হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম নোটিসে হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি বলেই দাবি তৃণমূল নেতার আইনজীবীদের। দ্বিতীয় নোটিস পাঠাল পুলিশ। রবিবার বেলা ১১টায় ফের বোলপুর এসডিপিও অফিসে তলব করা হয়েছে তাঁকে। দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা হাজিরা দেন কিনা, সেটাই দেখার।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল শনিবার বোলপুর মহকুমা আধিকারিকের দপ্তরে অনুব্রত মণ্ডলের ৪ আইনজীবী যান। সেই দলে ছিলেন বোলপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী বিপদতারণ ভট্টাচার্য, সন্দীপ সরকার-সহ দু’জন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি বলেই দাবি আইনজীবীদের। ফের রবিবার বেলা ১১টায় বোলপুরের এসডিপিও অফিসে তাকে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই অনুব্রত মণ্ডলকে দ্বিতীয় নোটিস ধরাল বীরভূম জেলা পুলিশ। এদিকে, অনুব্রতকে গ্রেপ্তারির দাবিতে সাঁইথিয়া, রামপুরহাট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। দু’জনের কথোপকথনের সেই অডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় শোরগোল। যদিও সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। শুক্রবার পুলিশ সেই অডিওর ভিত্তিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। ২টি জামিন অযোগ্য-সহ মোট চারটি ধারায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে শনিবার থানায় তলব করা হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে কড়া বার্তা পাঠায়, ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোকজও করা হতে পারে। এরপর আর একটুও সময় নষ্ট করেননি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লিখে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। এরপর দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছেও চিঠি পাঠান অনুব্রত। ক্ষমা চাওয়ার পরেও থানায় হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার আগাম জামিনের আবেদনে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন অনুব্রত।