• পাকা ছাদও নেই ঘরের অথচ বিদ্যুতের বিল ৬২ হাজার! মাথায় হাত বৃদ্ধার...
    ২৪ ঘন্টা | ৩১ মে ২০২৫
  • অরূপ লাহা: গীতা আদক।বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের শান্তি পাড়ার বাসিন্দা। অ্যাসবেস্টসের ঘরে স্বামী,পুত্র,পুত্রবধূ ও দেড় বছরের নাতিকে নিয়ে থাকেন। গীতাদেবীর অভিযোগ, এতদিন বিদ্যুৎ দফতর যা বিল পাঠিয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পেমেন্ট করেছি, এমনকী গত জানুয়ারি মাসেও বিদ্যুৎ দফতরের পাঠানো বিল অনুযায়ী টাকা জমা করেছি,তাহলে আবার বকেয়া কীসের?

    বিদ্যুৎ দফতর গীতা আদকের নামে ১৩ মে ২০২৫ সালে ৬৪৫৬ ইউনিটের জন্য তিন মাসের বিল বাবদ ৬২,২৯১ টাকার বিল দেয়।তার মধ্যে ১৬ মে এর  মধ্যে ২১১৭৩ টাকা,১৬ জুনের মধ্যে ২১১৭১ টাকা ও ১৫  জুলায়ের মধ্যে ২১১৭১ টাকা বিল বাবদ পাঠায়। গীতা আদকের অভিযোগ, এত পরিমাণ বিদ্যুৎ তিনি তিন মাসে ব্যবহার করেননি, অথচ বিদ্যুৎ দফতর বলছে তাঁর মিটারে বকেয়া বিদ্যুতের ইউনিট জমে আছে। এখানেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিদ্যুৎ দফতর যা বিল পাঠিয়েছে তা তিনি যথা সময়েই পেমেন্ট করেছেন,তাহলে মিটারে ইউনিট জমল কীভাবে?

    যদিও বিদ্যুৎ দফরের পূর্ব বর্ধমান রিজিওনাল ম্যানেজার গৌতম দত্ত জানিয়েছেন,নিয়ম মেনেই তাঁর বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছে।"মিটার অ্যাকুমোলপশন" থাকার জন্য বিল বেশি হয়েছে। বিগত এক বছর আগে যেখানে তাঁর তিনটি কোয়াটারে গড় ১১০০-১১৫০ ইউনিটের উপর বিল হতো তা শেষ তিনটে কোয়াটারে ২০০-২১০ ইউনিটের মধ্যে চলে আসায় এসএনএলটি ইউনিট সরেজমিনে গিয়ে দেখে মিটারে অ্যাকুমোলেশন ইউনিট আছে।

    কিন্তু মিটার রিডিং দেখে বিদ্যুৎ দফতর এবং সেই ইউনিটের উপর বিল পাঠায়,তাহলে অ্যাকুমোলেশন ইউনিট কীভাবে হল? মিটারটি উপরে থাকার কারণে রিডিং নেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে।পাশাপাশি গ্রাহক যদি বিল কমের কথা আগে জানাতেন তাহলে আমরা দেখতে পারতাম কম কেন হয়েছে।তবে গ্রাহক যদি কিস্তিতে বিল মেটানোর আবেদন করেন তাহলে আমরা বিবেচনা করতে পারি বলে জানিয়েছেন গৌতমবাবু।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)