বিধান সরকার: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তার ইলশে গুঁড়ি কবিতায় লিখেছেন, 'ইলশে গুঁড়ির নাচন দেখে, নাচছে ইলিশ মাছ'। সেই ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টিও নেই ইলিশ মাছের নাচনও নেই। এখনও বর্ষা ঢোকেনি বঙ্গে। প্রাক বর্ষার বৃষ্টি বিক্ষিপ্ত ভাবে হয়েছে। তবে ইলিশ মাছের দেখা মেলেনি। সাগরে নদীতে ইলিশ ধরা না পরলেও এখন বছর ভর হিমঘরে রাখা ইলিশ পাওয়া যায় বাজারে।
আর জামাই ষষ্ঠীতে চাহিদা মেটাচ্ছে প্লাস্টিকে মোরানো সেই হিমঘরের ইলিশ। পদ্মার মিষ্টি জলের ইলিশ সুস্বাদু হয়। তাই পদ্মার ইলিশের দাম সব সময় বেশি থাকে। তবে বাজারে এখন পদ্মার ইলিশ নেই, আছে বার্মা ইলিশ। যারা ইলিশ চেনে না তারা সেই বার্মা ইলিশকেই পদ্মার বলে নিয়ে যাচ্ছেন, বলছেন বিক্রেতারা।
হুগলি জেলার পাইকারি মাছের বাজার গুলোর মধ্যে অন্যতম বড় বাজার হল চুঁচুড়া চকবাজার। যেখানে প্রতিদিন টন টন মাছ পাইকারি বিক্রি হয়। চকবাজারে মাছের আড়তদাররা জানান, জামাই ষষ্ঠীর সময় ইলিশের চাহিদা থাকে বেশি। চাহিদা অনুযায়ী যোগান না থাকায় দাম একটু চড়া থাকে। ১ কিলো থেকে ১২০০ মাপের বার্মা ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরো বিক্রেতারা তার উপর আরও ১০০-১৫০ চাপিয়ে বিক্রি করলে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই ইলিশ কিনতে গিয়ে পকেটের কথাও ভাবতে হচ্ছে সাধারন ক্রেতাকে। ইলিশ ভাপা আর একপিস ভাজা জামাই- এর পাতে না দিলেই নয় মনে করছেন যারা, তারা কিনছেন চড়া দামের এই রূপালী শস্য।
ইলিশ ক্রেতা প্রদীপ সরকার বলেন, শাশুড়িরা ইলিশ পছন্দ করেন জামাইকে খাওয়াবেন বলে। কিন্তু বাজারে সেইভাবে ইলিশ নেই। যা আছে তার দাম অনেক চড়া। মানুষ খাবে কি? আড়তদার সুখেন রায়, বিশ্বজিৎ সিং-রা বলেন, ইলিশের চাহিদা আছে কিন্তু যোগান কম। তাই দামটা একটু বেশি। এখন পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায় না।