• বর্ধমান যাচ্ছে উত্তরের চিতাবাঘ মোনা-শিবানী
    এই সময় | ৩১ মে ২০২৫
  • এই সময়, আলিপুরদুয়ার: উত্তরবঙ্গ থেকে নতুন অতিথি যাচ্ছে বর্ধমান চিড়িয়াখানায়। দুই মাদি চিতাবাঘ মোনা ও শিবানীকে নিয়ে আজ, শনিবার সড়কপথে ডুয়ার্স থেকে বর্ধমান চিড়িয়াখানার উদ্দেশে রওনা দেবেন বনকর্মীরা।

    জলদাপাড়া বনবিভাগের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে নিয়ে যাওয়া হবে ওই দুটি চিতাবাঘকে। ফলে খানিকটা হলেও বন্দিদশা থেকে মুক্তির স্বাদ পাবে ডুয়ার্সের চা বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া ওই দুই লেপার্ড।

    ডুয়ার্সের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্র আবাসিক চিতাবাঘদের ভিড়ে এখন ঠাসাঠাসি অবস্থা। বর্তমানে এখানে রয়েছে ২৩টি চিতাবাঘ। যাদের দৈনিক খাবারের জোগান দিতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় জলদাপাড়া বনবিভাগের।

    ওই খরচের বোঝা কিছুটা কমাতেই দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে আবাসিক চিতাবাঘদের রাজ্যের অন্য চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বনদপ্তর। তাতে চিড়িয়াখানাগুলির বৈচিত্র যেমন বাড়বে, অন্যদিকে পর্যটকদের জন্যেও বাড়তি আকর্ষণ তৈরি হবে।

    পথ দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর পরে মেটেলির সামসিং চা বাগান থেকে মাত্র তিন মাস বয়সের মোনাকে ২০২০ সালে উদ্ধার করেছিল বনদপ্তর। তার পর থেকে ওই মা-হারা শাবকের ঠাঁই

    হয়েছিল দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শিবানীকে উদ্ধার করা হয়েছিল বীরপাড়ার তুলসীপাড়া চা বাগানে। তখন তার বয়স ছিল এক বছর। তারও ঠিকানা হয় দক্ষিণ খয়েরবাড়ি।

    ছোট অবস্থায় ওই দুই চিতাবাঘকে অনেক যত্নে লালন-পালন করে বাঁচিয়ে তোলেন দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রের ‘বাঘ মামা’ পার্থসারথি সিনহা। শৈশবের মায়া কাটিয়ে মোনা ও শিবানীর বর্ধমানে চলে যাওয়ার খবর মিলতেই খানিকটা মুষড়ে পড়েছেন চিতাবাঘদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ওই বনকর্মী।

    উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘দক্ষিণ খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ পুনর্বাসন কেন্দ্রে উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘদের ভিড় জমছে। তাই মোনা ও শিবানীকে বর্ধমান চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)