• হাজার টাকায় চারা গাছ পুঁতে ১০,০০০ টাকায় একটা আম বেচছেন সবংয়ের তপন
    এই সময় | ৩১ মে ২০২৫
  • গরমকাল মানেই আমের মরশুম। ফজলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি, গোলাপখাস থেকে শুরু করে হরেক কিসিমের আমের দেখা মেলে বাজারে। কিন্তু এখন বেশ ট্রেন্ডিং মিয়াজ়াকি আম। এর দামও বেশি। পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি মিয়াজ়াকি বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার টাকায়।

    জানা গিয়েছে, মিয়াজ়াকি আম দেখতেও যেমন সুন্দর, তেমনি তার গুণাগুনও রয়েছে। বেগুনি এবং গাঢ় লাল আস্তরণ যুক্ত সেই মিয়াজ়াকি আম ফলিয়েছেন সবংয়ের চাউলখোলা গ্রামের বাসিন্দা তপন মাইতি। মাত্র পাঁচটি মিয়াজ়াকি ফলেছে তাঁর বাগানে। এখন তিনি খদ্দের খুঁজছেন আমগুলি বিক্রি করার জন্য।

    তপন বলেন, ‘বছর পাঁচ আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি নার্সারি থেকে ১ হাজার টাকা দিয়ে মিয়াজ়াকির একটি চারা কিনে এনেছিলেন তিনি। সেই গাছই এখন ফল দিচ্ছে।’

    মিয়াজ়াকি ছাড়াও তপন বাবুর বাগানে রয়েছে মোট ৫৭ প্রজাতির আম গাছ। সেই তালিকায় রয়েছে, পুসাশুরিয়া, পুসা অম্বিকা, পুসা অরুনিকা, ব্ল্যাকস্টোন, হোয়াইট ম্যাঙ্গো, টমি আটকিং, হিমসাগর, আম্রপালি, কস্তুরি, নুর জাহান, সাজাহান ইত্যাদি। তবে সব থেকে দামি এই মিয়াজ়াকি। এই আম দেখতে প্রতি দিনই ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন থেকে শুরু করে দূর দূরান্তের মানুষ।

    আম ছাড়াও তাঁর বাগানে দেখা মেলে আপেল, সবেদা, জামরুল, ড্রাগন ফল, বেদানা, নাসপাতি, কাঁঠাল, পেয়ারা, লেবু, নারকেল, বাতাবি লেবু-সহ অসংখ্য ফলের। ২০০১ সালে মাত্র দু'টি ফলের গাছ লাগিয়ে যাত্রা শুরু করেন পেশায় কৃষক তপন মাইতি। ২০২৫ সালে তাঁর বাগানে রয়েছে ৪০০ রকমের ফলের গাছ। এখন আর তিনি শুধু ফলই ফলান না, গাছের চারাও বিক্রিও করেন তপন। এমনকী কেউ গাছ কিনতে এলে তাঁকে নিজে হাতে করে পরিচর্যার পদ্ধতিও শিখিয়ে দেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)