পূর্ব মেদিনীপুরের একটি পাম্প হাউস থেকে শনিবার সকালে উদ্ধার হলো এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম পঙ্কজ শাসমল (৪২)। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার বহিচবেড়িয়া এলাকার ঘটনা। এ দিন সকালে পাম্প হাউসের কর্মীরা কাজে এসে পঙ্কজের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নন্দকুমার থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পঙ্কজ বহিচবেড়িয়া এলাকায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। তিনি শাসমল নন্দকুমার ব্লকের বহিচবেড়িয়া এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ অফিসের অস্থায়ী শ্রমিক ছিলেন। প্রায় ১২ বছর ধরে তিনি সেখানে কাজ করছিলেন। পঙ্কজের সহকর্মী সুমন দাস বলেন, ‘পঙ্কজ বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তায় ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে আমরা রাধামণিতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ওঁর সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল। পঙ্কজ এক নম্বর পাম্পে, আর আমি দু'নম্বর পাম্পে কাজ করতাম।’
সুমন আরও বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে পঙ্কজ ফোন করে আমাকে ঘুম থেকে তুলত। শনিবার ফোন করেননি। পাম্পে এসে ওঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই।’ স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকায় অনেক মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন পঙ্কজ। তা নিয়ে তিনি বেশ চিন্তায় ছিলেন। তবে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তিনি আত্মহত্যা করছেন, না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে। পঙ্কজের মৃত্যুর পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন।