এই সময়: চলতে চলতে হঠাৎ স্লথ হয়ে যায় ট্রেনের গতি। অ্যালার্ম বেজে ওঠে চালক ও গার্ডের কেবিনে। ট্রেন থামিয়ে নির্দিষ্ট কামরার দিকে ছুটতে হয় তাঁদের। খুলে যাওয়া ভালভ নতুন করে জুড়ে ফের ট্রেনটিকে চলার উপযুক্ত করতে হয়। সব মিলিয়ে অন্তত ১০–১২ মিনিট লেগে যায়।
সিগন্যাল সবুজ সত্ত্বেও অ্যালার্ম চেনে টানে ট্রেন দাঁড়িয়ে গেলে পিছনের ট্রেনগুলিও পর পর দাঁড়িয়ে যায়। প্রভাব পড়ে গোটা লাইনে পরিষেবার উপরে। পূর্ব রেল সম্প্রতি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানিয়েছে, এ বছর ১ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত মাত্র ৫৬ দিনে বিভিন্ন শাখা মিলিয়ে অ্যালার্ম চেন টেনে ট্রেন দাঁড় করানোর ৩১৪টি ঘটনা ঘটেছে!
১১৪টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ১৪টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন সময়ানুবর্তিতা হারিয়েছে। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে এই জ়োনে অ্যালার্ম টেনে ট্রেন দাঁড় করানোর নজির রয়েছে ১৮৮২টি। তার ফলে ৭৮৫টি মেল ও এক্সপ্রেস এবং ১০৫টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
সংস্থা জানিয়েছে, চলন্ত ট্রেনে কোনও যাত্রী অসুস্থ হলে বা অন্য কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে ট্রেন থামাতে চেন টানা যায়। কিন্তু বহু যাত্রীই অকারণে চেন টানেন। দুই স্টেশনের মাঝে কোনও জায়গায় বাড়ি হলে অনেকে চেন টেনে নেমে যান। পরের কোনও স্টেশনে কোনও পরিচিতর ট্রেন ধরতে দেরি হবে জেনেও অনেকে চেন টেনে যাত্রা ব্যাহত করেন।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছেন, অ্যালার্ম চেন টানার পর যদি দেখা যায় ট্রেন থামানোর কারণ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা হলে অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে এ বার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কামরায় এমন ঘটবে, সেই কামরার যাত্রীরা যদি অভিযুক্তকে ধরে দেন, তা হলে রেলের পক্ষ থেকে সাহায্যকারী যাত্রীদের সম্মান প্রদর্শনও করা হবে।