দাঁতালের হানায় সদ্যোজাত-সহ একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু আলিপুরদুয়ারে। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে। বন কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে শনিবার সকাল থেকেই পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার ফলে ফালাকাটা থেকে কুঞ্জনগর হয়ে নয় মাইল যাওয়ার রাস্তায় যান চলালচল ব্যাহত হয়।
আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের কুঞ্জনগরের সভাপতি মোড় এলাকায় বুনো হাতির হানায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময়ে ওই পরিবারের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। ঘরের বাইরে বিকট আওয়াজ শুনে বেরিয়ে যান মনোজ দাস (৩২)। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে পিষে মারে ওই দাঁতাল হাতি। ছেলের চিৎকার শুনে মা মাখন রাণি দাস (৬৫) তাঁর একরত্তির নাতনিকে কোলে নিয়ে ঘরের বাইরে পা রাখা মাত্রই বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা দাঁতাল হাতিটি তাঁকেও পিষে দেয়। একইসঙ্গে মৃত্যু হয় তাঁর কোলে থাকা ৩৬ দিনের শিশুকন্যা মানসীর।
ঘটনায় হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। চিৎকার শুনে পড়শিরা জড়ো হন। শনিবার দিনের আলো ফুটতেই বন দপ্তরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোত তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও বাঁশ ফেলে দফায় দফায় শুরু হয় পথ অবরোধ। অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রায় প্রতি রাতে হাতির হামলা হলেও বন দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হাতির হানায় আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়া এলাকার এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়। নিজের জমিতে চাষের কাজ তদারকি করার সময়েই আচমকা তাঁর উপর হামলা চালায় একটি বুনো হাতি। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি।