নিম্নচাপের প্রভাবে সাময়িক স্বস্তি ফিরেছিল দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু ফের ফিরতে চলেছে প্যাচপ্যাচে, অস্বস্তিকর গরম। মে মাসের শেষ দিন এবং জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ অসহ্য গরমের মধ্যে দিয়েই কাটাতে হবে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। অর্থাৎ, ১ জুন জামাই ষষ্ঠীতে ঘাম মুছতে মুছতে নাজেহাল অবস্থা হতে চলেছে জামাইদের। ভূরিভোজের সঙ্গে বাড়তি পাওনা থাকছে অসহ্য জ্বালাধরা গরম।
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া অতি গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশে ঢুকে শক্তি হারিয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার পর নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে সরে যায় উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে। বর্তমানে নিম্নচাপটি মেঘালয়ের উপর অবস্থান করছে। ফলে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে যে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল, তার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজ, শনিবার বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতার বৃষ্টি ভাগ্য আপাতত খুব একটা ভালো নয়। শহরের বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি বাড়বে। এমনকী দুপুরের পর আপেক্ষিক আর্দ্রতার সূচক ১০০ শতাংশে চলে যাওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ফলে অস্বস্তিকর গরম অনুভব করবেন কলকাতার লোকজন।
দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ফিরতে চলেছে জ্যৈষ্ঠের চেনা গরম। বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ৩-৪ দিনে অন্তত ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। ফলে অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা।
উত্তরবঙ্গের জন্য রয়েছে সুখবর। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজ শনিবার বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। প্রায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে দার্জিলিং-সহ উত্তরের বিভিন্ন জেলায়। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।