• জেলাশাসকের ‘সারপ্রাইজ ভিজ়িট’, কর্মীদের ‘ফাঁকিবাজি’ কমলো কি? গুঞ্জন কোচবিহারে
    এই সময় | ৩১ মে ২০২৫
  • চাঁদকুমার বড়াল

    ‘১২ টায় অফিস আসি, ২টোয় টিফিন…’। সেই ট্র্যাডিশন কি আজও রয়ে গিয়েছে? সরকারি কর্মীদের একাংশের কাজে ‘আলসেমি’ যাচাই করতে মাঠে নেমেছিলেন স্বয়ং জেলাশাসক। হাতেনাতে প্রমাণও পান গত ২৭ মে। কোচবিহার জেলাশাসক দপ্তরের ১৬ জনকে একসঙ্গে শোকজ় করা হয়। কিন্তু, জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনার সেই ‘সারপ্রাইজ ভিজ়িট’ কী কাজে এল? ঘুরে দেখল এই সময় অনলাইন।

    অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। কোচবিহার জেলাশাসক দপ্তরের ঘড়িতে ১১টা বাজলেও অনেক কর্মীকেই অফিসে দেখা যায় না। দশটা-পাঁচটা ডিউটির মাঝেও রয়েছে ‘ফাঁকিবাজি’। আরও অভিযোগ, ১১টার আগে অফিস আসেন না একাধিক কর্মী। আবার, অফিসে আসার পর মাঝপথে বেরিয়েও যান অনেকেই। ব্যক্তিগত কাজ সেরে অফিসে ফিরে আসেন। দুপুরে টিফিনের নামে কাছেপিঠে যাঁদের বাড়ি তাঁরা বাড়ি ফিরে যান। তাঁদের আধ ঘণ্টার টিফিন আওয়ার্স প্রায় এক ঘণ্টায় শেষ হয়।

    জেলাশাসকের ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’-এর কিছুটা চিত্র বদলেছে তিন দিন বাদে। এমনটাই বলছেন জেলার একাধিক সরকারি কর্মী। নাম জানাতে অনিচ্ছুক দুই সরকারি কর্মী বলছেন, ‘মঙ্গলবারে পরে যাঁরা এগারোটার আগে অফিসেই ঢুকতেন না, তাঁরা সাড়ে দশটার মধ্যেই চলে আসছেন। যাঁরা বাড়িতে দুপুরের খাবার খেতে যেতেন, তাঁরা খাবার নিয়েই অফিসে ঢুকছেন।’ জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনাকে বিষয়টি নিয়ে জানতে মেসেজ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, সেই রকম কিছু নয়। সরকারি কর্মীরা অফিস আওয়ার্স মেনটেন করবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক।

    তবে কর্মীদের ঢিলেমির চিত্রটা এই অফিসেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেকেরই দাবি, জেলাশাসকের দপ্তরের পাশাপাশি শহর এবং মহকুমার অন্যান্য সরকারি অফিসেও একই ছবি দেখা যায়। জেলাশাসক শোকজ় করেছেন জেনে সংলগ্ন অন্যান্য সরকারি অফিসেও কাজের পরিবেশ বদলেছে। সকলের মনেই যে একটা ভয় কাজ করছে তা মেনে নিয়েছেন অনেকেই। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘মাঝেমধ্যেই এই অভিযান চলবে। কাজে ফাঁকি দেওয়া বরদাস্ত হবে না।’

  • Link to this news (এই সময়)