• এক হাতে চপার, অন্য হাতে বউদির কাটা মাথা! বাসন্তী থানায় আত্মসমর্পণ দেওরের
    প্রতিদিন | ৩১ মে ২০২৫
  • দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে বউদির কাটা মাথা। ভরা রাস্তা ধরে হেঁটে গিয়ে বাসন্তী থানায় আত্মসমর্পণ দেওরের। শনিবার সাতসকালে হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকায়। এই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত পথচলতি স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কী কারণে এই কাণ্ড ঘটাল যুবক, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    নিহত সতী মণ্ডল। বাসন্তীর ভরতগড এলাকার বাসিন্দা তিনি। অভিযুক্ত বিমল মণ্ডলও একই এলাকাতেই থাকেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বউদি ও দেওর। স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে দু’জনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। অভিযোগ, তারই মাঝে আচমকা চপার দিয়ে বউদিকে আক্রমণ করে বিমল। ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন সতী। এরপর এক হাতে কাটা মুণ্ডু এবং অপর হাতে চপার নিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একেবারে ভাবলেশহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছে বিমল। আশপাশের পথচলতি মানুষ তাকে দেখে আঁতকে ওঠেন। ধীরে ধীরে হেঁটে বাসন্তী থানায় পৌঁছয়। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাটা মাথা এবং ধারালো অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, বউদি এবং দেওরের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চরমে পৌঁছয়। তার জেরেই শনিবারের নৃশংস ঘটনা। তবে দু’জনের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হল কীভাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সে কারণে অভিযুক্তকে চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। মনোবিদদের মতে, যতদিন যাচ্ছে মানুষের ধৈর্য কমছে। খিটখিটে হয়ে যাচ্ছেন বেশিরভাগ মানুষ। সে কারণে বাড়ছে নৃশংস ঘটনা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)