এক চিলতে ঘর। তাতে আবার অ্যাসবেস্টসের চাল। কোনও মতে চলে সংসার। তবুও এত দিন বিদুতের বিল যা এসেছে তাই মিটিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এ বার বিদুতের যে বিল এসেছে তা দেখেই মাথায় হাত তাঁদের। কারণ, তিন মাসে তাঁদের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৬২ হাজার ২৯১ টাকা। ওই পরিবারের দাবি, তাঁরা এত পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেননি। তার পরেও কী ভাবে এই অস্বাভাবিক পরিমাণ বিল আসে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকের দাবি, নিয়ম মেনেই বিল পাঠানো হয়েছে।
বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের শান্তি পাড়ার বাসিন্দা গীতা আদক। অ্যাসবেস্টসের চাল দেওয়া ঘরে স্বামী,পুত্র,পুত্রবধূ ও দেড় বছরের নাতিকে নিয়ে থাকেন তিনি। এত দিন যে বিদ্যুৎ বিল এসেছে তা নিয়মিত মিটিয়ে দেওয়াও হয়েছে। তার পরেও তাঁর কাছে এ বার ৬২ হাজার ২৯১ টাকার বিদ্যুৎ বিল এসেছে। গত তিন মাসে ব্যবহার করা ইউনিটের উপর ভিত্তি করেই এই বিল পাঠানো হয়েছে তাঁকে। আগামী ২ জুনের মধ্যে ওই বিলের অর্ধেক টাকা না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে বলে নোটিশও দিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর।
জানা গিয়েছে, গত ১৩ তারিখে, ৬৪৫৬ ইউনিটের জন্য তিন মাসের বিল বাবদ ৬২ হাজার ২৯১ টাকার বিল দেয় বিদ্যুৎ দপ্তর। এর মধ্যে কবে কত টাকা মেটাতে হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গীতা আদক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁরা এত ইউনিট ব্যবহার করেননি। কী ভাবে এত টাকা বিল এসেছে তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। গীতা আদকের দাবি, এতদিন বিদ্যুৎ দপ্তর যা বিল পাঠিয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী গত জানুয়ারী মাসেও বিদ্যুৎ দপ্তরের পাঠানো বিল অনুযায়ী টাকা জমা করা হয়েছে। তাহলে এত টাকা বিল এবং বকেয়া কী করে থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন তিনি।
যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের পূর্ব বর্ধমান রিজিওনাল ম্যানেজার গৌতম দত্ত জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই গীতা আদককে বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছে। তাঁর দাবি, গীতা আদকের নামে গত এক বছরের প্রতি কোয়ার্টারে গড় ১১০০-১১৫০ ইউনিটের উপর বিল হতো। কিন্তু গত তিন বার তাঁদের বিল এসেছে পরায় ২০০ ইউনিটের কাছাকাছি। এই নিয়ে এসএনএলটি ইউনিট সরজমিনে গিয়ে দেখে। তখনই দেখা যায় ওই মিটারে অ্যাকুমোলেশন ইউনিট আছে।
তবে, ওই পরিবার চাইলে কিস্তিতে টাকা মেটানোর সুযোগ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।