পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার এক যুবকের দেহ। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আনন্দপুরের এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দীপক গিরি (৩৫) নামের ওই যুবকের। এই সম্পর্ক ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই সমস্যা চলছিল। বৃহস্পতিবারও তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়। এর পরেই আনন্দপুরের মজুরডিমা গ্রামে, তমাল নদীর পাশ থেকে উদ্ধার হয় দীপকের দেহ। এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক পুলিশ আধিকারিক।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমা এলাকার বাসিন্দা দীপক আনন্দপুরের একটি কোল্ড স্টোরেজে কাজ করতেন। কর্মসূত্রে সেখানেই থাকতেন তিনি। সেই সূত্রেই বিবাহিত দীপকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মজুরডিমা এলাকার এক যুবতীর । বিবাহিত হলেও ওই মহিলা থাকতেন তাঁর বাপের বাড়িতে।
জানা গিয়েছে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে দীপকের সঙ্গে ওই যুবতীর সমস্যা চলছিল। বৃহস্পতিবার তাঁদের মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রাতেই মজুরডিমা এলাকার ওই যুবতীর বাড়ির কাছেই তমাল নদীর পাড় থেকে দীপকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, দীপকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মজুরডিমা গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীদের দ্বারা অপমানিত হন দীপক। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার করেনি। দেহটি নদীর তীরে জমিতে পড়েছিল। এই নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। তাঁকে খুন করা হয়েছিল কী না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।