একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক, বিয়ের সুযোগে লুট! বারাসতের ‘রোমিও’র বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ স্ত্রী
প্রতিদিন | ৩১ মে ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাসত: ছদ্মবেশী রোমিও! নাম বদলে একের পর এক সম্পর্ক, বিয়ে। আর সেই বিয়ের সুযোগে স্ত্রীর থেকে সর্বস্ব লুট। বারাসতের শাসনের যুবকের বিরুদ্ধে কার্যত অভিযোগের পাহাড়। শুধু তাই নয়, লুটপাটে বিষয়টি জানাজানি হতে স্ত্রীর উপর মানসিক, শারীরিক নির্যাতন, গর্ভপাত করানো-সহ আরও একগুচ্ছ অভিযোগ। নাজেহাল স্ত্রী অবশেষে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন। বারাসতের শাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাঁর আবেদন, ওকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার বাসিন্দা বছর উনত্রিশের ফজিলা বিবি। শাসন থানার চোলপুর গ্রামের এক বাসিন্দা নিজেকে ফিরোজ মল্লিক নামে পরিচয় দিয়ে তাঁকে প্রেমের জালে ফাঁসায়। দুজনের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। অভিযোগ, এরপর থেকে নানা অছিলায় ফজিলার থেকে ধাপে ধাপে ১৬ লক্ষ টাকা আদায় করে নেয় সে। পরে জানা যায়, ফিরোজের আসল নাম জুল হাসান মল্লিক, তার সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক রয়েছে। ফজিলা তা জেনে যাওয়ার পরই অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। তাতে একবার গর্ভপাত হয়েছে তাঁর, একটি চোখও নষ্ট হয়েছে। শেষমেশ জুলের আরেকটি বিয়ের খবর জানতে পেরে আর চুপ করে থাকেননি ফজিলা। লিখিত অভিযোগ নিয়ে শাসন থানার দ্বারস্থ হন।
শুক্রবার এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফজিলা জানিয়েছেন, ”নাম গোপন করে আমাকে বিয়ে করেছিল ফিরোজ মল্লিক ওরফে জুল। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। এগুলি জানার পরই আমার উপর শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত। ওর হাতে অত্যাচারিত হয়ে আমার একটি চোখ নষ্ট হয়েছে। একবার গর্ভপাত করাতে হয়েছে। ধাপে ধাপে আমার থেকে ১৬ লক্ষ টাকা নিয়েছে। সম্পত্তি, গয়না বিক্রি করে ধার নিয়ে সেই টাকা দিয়েছিলাম। এত কিছু সহ্য করেও সংসার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারলাম ফিরোজ ওরফে জুল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে করে সন্ডালিয়ায় ভাড়া থাকছে। আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। প্রেমের জালে জড়িয়ে অনেককেই সে আমার মতো প্রতারণা করেছে। আমি চাই ওর কড়া শাস্তি হোক।”