• কাজের খোঁজেই অবৈধভাবে এপারে প্রবেশ! পানিহাটিতে ধৃত বাংলাদেশির ভাইবোনও গ্রেপ্তার
    প্রতিদিন | ৩১ মে ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: পানিহাটির ফ্ল্যাট থেকে অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে বাংলাদেশি মহিলা গ্রেপ্তারির ঘটনায় নয়া মোড়। অদিতি ওরফে প্রিয়ার আগে যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারা সকলে অদিতির ভাইবোন। প্রথমে দিদি অদিতি ওরফে প্রিয়া, তারপরে ভাইবোন আবু তাদের ও আসমা অবৈধভাবে এদেশে এসেছিল কর্মসংস্থানের খোঁজে। জেরায় তারা এসব কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। তাদের বয়ানের সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে এদেশে প্রবেশের অভিযোগে ধৃত অদিতি ওরফে প্রিয়া বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। তার সঙ্গে প্রথমে কেষ্টপুরের এক ব্যক্তির ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল। সেই সূত্রে ২০১৯ সালে যশোর হয়ে প্রিয়া এদেশে এসে প্রথমে কেষ্টপুরে ওঠে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়েও হয় প্রিয়ার। তারপর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে স্বামীর সঙ্গে বসবাস শুরু করে। সেই ঠিকানায় জাল ভোটার, আধার, প্যান কার্ড ও রেশন কার্ড বানিয়ে প্রিয়া খাতুন হয়ে ওঠে অদিতি পাত্র। তারপর থেকে পাকাপাকিভাবে এদেশে থাকা শুরু করে সে।

    এরপর সোদপুরের এইচবি টাউন, মালঞ্চ হয়ে মাস দুই আগে থেকে অদিতি ওরফে প্রিয়া থাকতে শুরু করে পানিহাটি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পার্কের ফ্ল্যাটে। অভিযোগ, ভাড়া নেওয়ার কিছুদিন পর থেকেই নাকি তাঁর ফ্ল্যাটে বহু বহিরাগতদের আনাগোনা শুরু হয়। প্রথমে বিষয়টিকে কেউ আমল না দিলেও পরে অন্যান্য আবাসিকদের সন্দেহ হয়। তাঁরা অদিতির কাছে জানতে চান, যারা আসে তাদের পরিচয় কী? কিন্তু অদিতি একেক সময় একেক রকম উত্তর দিলে সন্দেহ আরও বাড়ে। বিষয়টি জানতে পারেন ফ্ল্যাট মালিক। গত মঙ্গলবার রাতে এনিয়ে অদিতির কাছে ফের অন্যান্য আবাসিক ও ফ্ল্যাট মালিক জিজ্ঞাসা করলে সকলের সঙ্গে বচসায় জড়ায় অদিতি। এরপরই সন্দেহ আরও গাঢ় হয় সকলের। তাঁরা ঘোলা থানার দ্বারস্থ হন।

    পুলিশ অদিতির ফ্ল্যাটে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি, পরিচয়পত্র দেখতে চায়। কিন্তু সেসব দেখাতে না পারায় প্রথমে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ভাইবোন আবু তাদের মোল্লা ও আসমা খানমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ভাড়াটিয়া অদিতি ধৃতদের দিদি, সেও বাংলাদেশি। এরপর বৃহস্পতিবার তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের থেকে জাল ভোটার, আধার, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেসব ভুয়ো পরিচয়পত্র কার মাধ্যমে করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছেন ঘোলা থানার তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)