• 'কাজলের লোক, রেকর্ডিং করছিস আমি জানি!', IC-কে ফোনে অশ্রাব্য গালিগালাজেই বিপাকে কেষ্ট...
    ২৪ ঘন্টা | ৩১ মে ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বোলপুরের আইসিকে গালিগালাজ বিতর্কে শিরোনামে অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal)। এই জলও তাঁর দলে অনেকদূর গড়িয়েছে। এমনকী ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন বীরভূমের এই নেতা। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতার এক অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়।  

    যেখানে তাকে বোলপুর থানার আইসি-কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায়। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযোগ, বুধবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় অনুব্রতর নাম করে আইসি লিটন দাসকে অসংসদীয় ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। আইসিকে কাজল ঘনিষ্ট বলতেও শোনা যায়। যদিও অডিয়োর সত্যতা যাচাই করে জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল। 

    উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার একটি দলীয় কর্মসূচির পরে অনুব্রত মণ্ডল প্রকাশ্যে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আইসি FIR করতে গেলেও টাকা চান। গত দু’মাস ধরে এই আইসিকে সরানোর জন্য আমি SP, অ্যাডিশনাল SP, এমনকি DG রাজীব কুমারকেও বলেছি।’

    ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনুব্রত বলেন, 'যাকে তাকে মেসেজ করে টাকা চাইছে ৭০-৮০ হাজার। এফআইআর করতে গেলে বলছে ৫ হাজার টাকা নিয়ে এস। এটা আমি এসপিকে জানিয়েছি। আমি আজ থেকে ২ মাস আগে জানিয়েছি।' 

    ঘটনাটি ঠিক কী?  ফোনে বোলপুরের আইসিকে কদর্য ভাষা গালমন্দ! স্রেফ ওই পুলিস আধিকারিককেরই নয়, তাঁর স্ত্রী ও মা-কে রেয়াত করেননি বীরভূমের তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি। নোংরা কথা বলেছেন তিনি। আজ, সকালে সেই অডিয়ো ক্লিপটি পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তাতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।

    এরপরই দলের নির্দেশে ক্ষমা চাইলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি দুঃখিত। দিদির পুলিসের কাছে এক বার কেন, ১০০ বার ক্ষমা চাইতে পারি। আসলে আমি নানা রকম ওষুধ খাই। দিদির পুলিসের বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। সতিই আমি দুঃখতি।'

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)