অরূপ লাহা: মাছ ধরতে গিয়েছিলেন একজন, আর এক স্নান করতে। দামোদর নদে তলিয়ে গেলেন দু'জনই। 'ঘটনাটি স্বাভাবিক নয়', দাবি পরিবারের। শোকের ছায়া পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম মঙ্গলদীপ ঘোষ। গলসির কৈতাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ঘড়িতে তখন প্রায় বারোটা। বুধবার দুপুরে বাইকে চড়ে বাড়িতে যজ্ঞ করতে আসা এক তান্ত্রিকে নদের ওপারে পৌঁছে দিতে যান মঙ্গল। এরপর ফেরার পথে যখন দামোদরে স্নান করতে নামে, তখনই ঘটে বিপত্তি।
প্রত্যক্ষদর্শী ধৃতি সুন্দর লাহা জানিয়েছেন, 'জলে নামার কিছুক্ষণের মধ্য়েই মঙ্গল বাঁচাও বাঁচাও চিত্কার করে থাকে। আমি সঙ্গে সঙ্গে জলে নেমে ওঁকে ধরার চেষ্টা করি। মঙ্গল আমার পা ধরে ধরে তীরে ওঠার চেষ্টা করে, কিন্তু হঠাৎই পা ছেড়ে জলে তলিয়ে যায়'। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। তবে ডুবুরি নামানোর আগেই মঙ্গলকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। কাকা বিপদতারণ ঘোষ বলেন, 'আমি তখন অফিসে ছিলাম। হঠাৎ বাড়ি থেকে খবর পাই মঙ্গল জলে তলিয়ে গিয়েছে'। তাঁর মতে, 'ঘটনাটি স্বাভাবিক নয়। কোনও ষড়যন্ত্র থাকতে পারে'। গতকাল, বৃহস্পতিবারও দামোদর নদে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। নাম, কেষ্টা সাঁতরা। বাড়ি গলসির কুমারপুরে। দামোদরে মাছ ধরতে গিয়ে তলিয়ে যান তিনি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।