পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে জয় পেল তৃণমূল। শুক্রবার ভগবানপুর-২ ব্লকের মুগবেড়িয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ও চণ্ডীপুর ব্লকের সুলতানপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন ছিল। দু’টি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতেই জিতেছে ঘাসফুলের সমর্থকরা।
ভগবানপুর-২ ব্লকের মুগবেড়িয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট আসন সংখ্যা ৬৩। শুক্রবারের ভোটে ৪৩টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের সমর্থকরা, বিজেপি পেয়েছে ১৮টি। সিপিএম পেয়েছে ২টি আসন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় পাঁচ বছর আগে এই মুগবেড়িয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। এই সমবায় ছিল তৃণমূলের দখলে। বিজেপি, তৃণমূল ৬৩টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। তবে সিপিএম ৩৮টি আসনে প্রার্থী দেয়। মোট ভোটার ১ হাজার ৫৭৮। যার মধ্যে ভোট পড়েছে ১ হাজার ৪৮০টি। এই সমবায় মুগবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত। যা বর্তমানে বিজেপির দখলে।
জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না জানান, এখানকার মানুষ বুঝে গিয়েছে, এখানে বিজেপিকে এনে কী ভুল করেছেন। তাই এখন দূরত্ব বাড়াচ্ছেন।
অন্য দিকে চণ্ডীপুর ব্লকের সুলতানপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিরও পরিচালকমণ্ডলীর নির্বাচন ছিল শুক্রবার। সেখানে মোট আসন সংখ্যা ৯টি। যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৪টি, বিজেপি পেয়েছে ৩টি এবং সিপিএম পেয়েছে ২টি আসন। ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতার নিরিখে ওই সমবায়েও বোর্ড গড়তে চলেছে তৃণমূল। শুক্রবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা ছিল বিশেষ চোখে পড়ার মতো। চণ্ডীপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুনীল প্রধান জানান, এই জয় বুঝিয়ে দিচ্ছে, মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সোমনাথ রায় জানান, সমবায়গুলিতে শাসকদল তাদের পছন্দের লোকজনকে সদস্য করে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সমবায়গুলি দখলে নিচ্ছে। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাই লোকসভা হোক বা বিধানসভা নির্বাচন, বিজেপির প্রার্থীদের সমর্থন করেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ফল ভালো হবে।