বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘হিংসা, তোষণ, দাঙ্গা এবং দুর্নীতির রাজনীতি’ থেকে বাংলার মুক্তি দরকার, বলেছিলেন তিনি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার জবাব দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন এক দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অভিযোগকে নস্যাৎ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘স্পষ্ট মিথ্যা প্রচার’ চালানোর পাল্টা অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্যে আলিপুরদুয়ার থেকে প্রধানমন্ত্রী ‘স্বার্থপর এবং রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি জঘন্য এবং মিথ্যা প্রচার’ চালিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার জেলার বাসিন্দাদের কাছে বাংলার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলিকে তিনি খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন বলে দাবি মমতার।
এই পরিস্থিতিতে আলিপুরদুয়ারের উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকার কী কী কাজ করেছে, কী কী উদ্যোগ নিয়েছে, তার এক দীর্ঘ তালিকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আলিপুরদূয়ারের জনগণ যাতে সহজে প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা পান, সেই লক্ষ্যেই ২০১৪ সালের জুনে তাঁর সরকার আলিপুরদুয়ার জেলাকে বাংলার ২০তম জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। তার পর থেকে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই জেলার উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, জনসাধারণের সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, পাট্টা বিতরণ, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প, যোগাযোগ, চা বাগান এবং চা শ্রমিকদের উন্নয়ন, শিল্প, পর্যটন, রাজবংশী ও কামতাপুরী উন্নয়ন, আদিবাসী উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের কাজগুলি তালিকাবদ্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা সর্বদা বাংলার মানুষের জন্য আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি, তাই তারা আমাদের সঙ্গে আছে। আমরা ধর্ম, বর্ণ, জাত বা সংকীর্ণতার ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করি না। আমরা নিরন্তর মানুষের জন্য কাজ করি, সর্বদা তাদের পাশে থাকি।’