চিকিৎসকদের দূরে পোস্টিং বিতর্ক, হাইকোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস, আসফাকুল্লা
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ মে ২০২৫
আরজিকর আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দূরবর্তী স্থানে পোস্টিং করা হয়েছে। তানিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ বলে অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছে চিকিৎসক সংগঠনগুলি। এবার পোস্টিং বিতর্কে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন দুই চিকিৎসক দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়া। তাঁদের দাবি, নিয়ম মেনে কাউন্সেলিংয়ের পরেও তাঁদের পছন্দের জায়গায় ‘পোস্টিং’ দেওয়া হয়নি।
আজ শুক্রবার দুজন চিকিৎসক রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি। আরজিকর আন্দোলনের সময় ছিলেন অন্যতম মুখ দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো, আশফাকুল্লা নাইয়া প্রমুখ। সম্প্রতি তাঁদের পোস্টিং ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, এই তিন চিকিৎসক সহ বেশ কয়েকজন প্রথম সারির চিকিৎসক নেতাকে সিনিয়র রেসিডেন্ট নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ের মেরিট লিস্ট না মেনে দূরবর্তী স্থানে পোস্টিং করা হয়েছে। তাঁদের উত্তর দিনাজপুর থেকে শুরু করে, মালদার গাজোল ব্লক হাসপাতাল, পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ প্রভৃতি দূরবর্তী স্থানে পোস্টিং করা হয়েছে। চিকিৎসকদের অভিযোগ, আরজিকরে অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই এই আন্দোলনের নেতাদের এইভাবে নিয়ম না মেনে অন্যায় ভাবে দূরবর্তী স্থানে পোস্টিং করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী, সিনিয়র রেসিডেন্ট বর্তমানে বিভিন্ন গ্রামীণ হাসপাতাল এবং প্রান্তিক জেলার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বিশেষজ্ঞের পরিষেবা প্রধানত এইসব চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। তাঁরা সেখানে মেরুদন্ড হিসেবে কাজ করেন। অথচ দীর্ঘ দুমাস এদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রেখে একদিকে স্বাস্থ্য পরিষেবার যেমন বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে তেমনি আন্দোলনকারীদেরকে শনাক্ত করে তাঁদের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ পদক্ষেপ হিসেবে অন্যায়ভাবে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় সিনিয়র রেসিডেন্টদের কাছে নিয়ম মেনে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁরা কোথায় বদলি চান। তবে ওই চিকিৎসকরা পছন্দের জায়গায় ‘পোস্টিং’ পাননি। এরপরেই বদলি নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানান চিকিৎসকরা। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ডব্লিউবিজেডিএফের তরফে জানানো হয়েছে অনিকেতও আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আগামী ৫ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।