ধর্ষণের পর গলা টিপে ‘খুন’, ‘ক্রাইম সিনে’ পরেও যায় অভিযুক্ত! হুগলির নাবালিকা খুনে দাবি পুলিশ সূত্রের
প্রতিদিন | ৩০ মে ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: খাবারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! চিৎকার করতেই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’। দেহ কী অবস্থায় রয়েছে পরে ‘ক্রাইম সিনে’ তা দেখেও গিয়েছে অভিযুক্ত! হুগলির কানাইপুরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের কাণ্ডে এমনটাই দাবি পুলিশ সূত্রের ।
মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল হুগলির কানাইপুরের বাসিন্দা বছর তেরোর কিশোরী। বৃহস্পতিবার তার ‘বিবস্ত্র’ দেহ উদ্ধারের ঘণ্টা তিনেকের পর অভিযুক্ত পড়শি যুবক অসীম মজুমদারকে ডানকুনি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা বিভিন্ন থানায় অভিযুক্তের ছবি পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয়রা অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নাবালিকাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তাকে বিস্কুটও কিনে দেয় বলে জানা গিয়েছে। তারপর ন’পাড়া বাঁশঝাড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতনের জেরে কিশোরী চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ফেলে চলে আসে অভিযুক্ত। এই কাণ্ডের সময় অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। দেহ কী অবস্থায় রয়েছে পরে তা দেখেও এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। বাড়িতে না ফিরে থাকছিল বিভিন্ন ধাবা, রাস্তার হোটেলে।
বৃহস্পতিবার রাতেই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তারপরই পুলিশ অভিযুক্তকে ডানকুনির খরিয়াল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া থানায়। আজ, শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকাল চারটে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কানাইপুরের বছর তেরোর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক কিশোরী। পড়শি যুবক অসীম মজুমদার তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বিস্তর খোঁজাখুজির পর নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় গতকাল রাতে। ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।