ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে হরিয়ানা-দিল্লিতে বাস! বাংলাদেশ ফেরার আগে দিনহাটায় গ্রেপ্তার ২৮ অনুপ্রবেশকারী
প্রতিদিন | ৩০ মে ২০২৫
বিক্রম রায়, কোচবিহার: দালালের সাহায্যে সীমান্ত পেরনোর চেষ্টায় ছিল তারা। শেষপর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল ২৮ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। আজ শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হয়। ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এই দেশে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের আরও অবনতির পর সীমান্ত এলাকাগুলিতে তল্লাশি অভিযান অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। এদেশে বাস করা পাকিস্তান ও বাংলাদেশি নাগরিকদের খুঁজে ধরপাকড় চলছে। সেই আবহে বাংলাদেশ ফেরার পরিকল্পনা করেছিল এই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। কিন্তু তার আগেই গ্রেপ্তার করা হল তাদের। ধৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা ও ৯ শিশু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্ত পেরিয়ে দীর্ঘদিন আগেই বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে এসেছিল। তারপর দালালদের মাধ্যমে দিল্লি, হরিয়ানা চলে যায়। সেখানেই বিভিন্ন জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে তারা কাজ করছিল। এখানে থাকার জন্য ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করা হয়েছিল বলে খবর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ধরপাকড় শুরুর পরেই তারা হরিয়ানা থেকে শিলিগুড়ি চলে গিয়েছিল। কিন্তু তারা সেসময় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যেতে পারেনি। তখন ফের তারা বিহারে চলে গিয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর ফের তারা বাংলাদেশ ফেরার পরিকল্পনা করে। দালালদের মাধ্যমে সব কিছু ঠিক করে বৃহস্পতিবার রাতে তারা কোচবিহারের দিনহাটায় এসেছিল।
রাতে দিনহাটা স্টেশন এলাকায় তাদের সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে দেখা যায়। পুলিশের কাছে সেই খবর গেলে দ্রুত সেখানে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তাদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। একসময় স্বীকার করে তারা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয়। দালালদের মাধ্যমে গভীর রাতে কোচবিহার দিয়ে সীমান্ত পেরনো পরিকল্পনা তাদের ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। কী কারণে তারা বিভিন্ন রাজ্যে থাকছিল? তারা কি নাশকতার সঙ্গে জড়িত? সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের আরও জেরার প্রয়োজন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিন ধৃতদের দিনহাটা মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
নদিয়া, বনগাঁ-সহ একাধিক জায়গায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে। সাম্প্রতিক অতীতে এত সংখ্যায় অনুপ্রবেশকারী একসঙ্গে গ্রেপ্তারের ঘটনা হয়নি বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত।