রমেন দাস: চাকরিহারাদের ‘অর্ধনগ্ন’ মিছিলে (SSC Protest) বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা। তাই মিছিল শুরুর আগেই জারি ধরপাকড়। শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে আটক একাধিক যোগ্য চাকরিহারা। পুলিশের সঙ্গে বারবার বচসায় জড়িয়ে পড়েন চাকরিহারারা। এদিকে, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ গোটা স্টেশন চত্বর। ধর্মতলা থেকে পাকড়াও চিন্ময় মণ্ডল।
গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলটি বাতিল হয়েছে। যোগ্য-অযোগ্যের বিচারে সেই সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। নতুন করে তাঁদের নিয়োগের জন্য পদ্ধতি মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের বক্তব্য, তাঁরা একবার পরীক্ষায় নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। চাকরি ফিরে পেতে আর কোনও পরীক্ষায় বসতে রাজি নন। এদিকে, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ মেনে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনে লাভ নেই, পরীক্ষা দিয়েই ফের চাকরি পেতে হবে। কিন্তু নিজেদের দাবিতে অনড় চাকরিহারারা।
বৃহস্পতিবার ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর প্রতিনিধি চিন্ময় মণ্ডল জানিয়েছিলেন শুক্রবারের মহামিছিলের কথা। সেইমতো এদিন বেলা ১১টা থেকে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে জমায়েত শুরু হয়। সেখান থেকে নবান্নমুখী মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কারণ, বিশৃঙ্খলার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মিছিল শুরুর আগেই তাতে বাধা দেওয়া হয়। শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে বেশ কয়েকজন চাকরিহারাকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগে সরব চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, পুলিশ বহু নিরীহ নিত্যযাত্রীকেও অযথা আন্দোলনকারী ভেবে ভুল করছে। যাকে পারছে, তাকে পাকড়াও করছে। শুধু শিয়ালদহ স্টেশন নয়, ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড চত্বরেও বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন মেনে এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও তাঁদের দক্ষতার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দু’বছর লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হবে। তারপর সেগুলি নষ্ট করা হতে পারে। তবে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি ১০ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত করা হবে। ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হবে ওএমআর শিটের কপি।