আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজবংশী সমাজের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র পদ্মশ্রী নগেন্দ্রনাথ রায়। শুক্রবার সাহিত্য ও শিক্ষায় রাষ্ট্রপতি সম্মান নিয়ে দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফিরলেন তিনি। পদ্মশ্রী নগেন্দ্রনাথ রায়, দীর্ঘদিন শিক্ষকতার পাশাপাশি, রাজবংশী ভাষায় বিভিন্ন কবিতা, সাহিত্য, ছোট গল্প, ও রাজবংশী ভাষায় ১৬০০ পাতার রামায়ণ গ্রন্থের অনুবাদ করেছেন। গত পয়লা বৈশাখে রাজবংশী মুকুলন ও নিকিলন কমিটির মাধ্যমে এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখয়াতের উপস্থিতিতে জমজমাট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
নগেন্দ্রমাথের বাড়ি উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চল শিবমন্দির আঠারো খাই অঞ্চলের চৈইতন্য পুর গ্রামে। তাঁর বয়স বর্তমানে ৭২ বছর। তাঁর এই সাফল্যের দিনটি রাজবংশী সম্প্রদায়ের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রাজবংশী রামায়ণ প্রচার কমিটি, উত্তরবঙ্গের রাজবংশী রামায়ণ প্রচার কমিটি এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজবংশী সমাজের মানুষ এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন পদ্মশ্রী নগেন্দ্রনাথ রায়কে স্বাগত জানাতে। বাগডোগরা বিমানবন্দরে অবতরণের পরেই খুশি ও উল্লাসে মেতে উঠে গোটা উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ।
বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানান সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষ। পিছনে পড়ে নেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহলও। বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টিমুখ করানো হয় তাঁকে। এমনকি, একাধিক জায়গায় দেশি বাজনা বাজিয়ে, নাচগানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় তাঁকে। এদিন নিজের এলাকায় ফিরে শিবমন্দিরে ঠাকুর পঞ্চানন বার্মার মূর্তিতে মাল্যদান করে নিজের বাসভবনে যান নগেন্দ্রনাথ। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডঃ অমল কান্তি রায়, রাজবংশী প্রচার কমিটির অন্যতম সদস্য সুরত বর্মন, ডক্টর পরিমল চন্দ্র রায়, অতুল রায় সহ রাজবংশী রামায়ণ কমিটির সদস্য সদস্যগণ।