এই সময়, মালদা ও বালুরঘাট: এক বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল। সেই সম্পর্কের জেরে কাঁটাতারের সীমান্ত পেরিয়ে ও পারে যেতে চেয়েছিলেন মালদার এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। কিন্তু প্রেমিকের কাছে আর যাওয়া হলো না। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড আটক করে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ওই কলেজ ছাত্রীকে।

মালদা জেলার বামনগোলা থানার গোবিন্দপুরের মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর এলাকার বাসিন্দা ২০ বছরের ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে বাংলাদেশের এক যুবকের পরিচয় হয়। পাকুয়াহাট কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর বাবা দিল্লিতে দিনমজুরের কাজ করেন।

সোমবার বিকেলে মায়ের সঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসে আচমকা ওই তরুণী নিখোঁজ হয়ে যান। বুধবার সন্ধ্যায় খবর আসে, তপন থানার ছত্রহাটি সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার পরে ও পারের দিনাজপুর জেলায় তাঁকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জওয়ানরা। পরে বুধবার রাতে সীমান্তবর্তী ক্যাম্পে ফ্ল্যাগ মিটিং–এর পরে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিএসএফের হাতে তুলে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, ‘পাচার করার জন্য মেয়েকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফুঁসলানো হয়েছিল। ও পারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্ত যুবকের। মোবাইলে দু’জনের পরিচয় হয় বলে শুনেছি।

সারাদিন দু’জনে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হতো। সোমবার বিকেলে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে হঠাৎ করে ও নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। তাতে বলা হয়, মেয়েকে বিজিবি আটক করেছে। মেয়েকে ফেরত চাই, সেই সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকেরও কঠোর শাস্তি চাই।’

দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’ যদিও মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মেয়েটির বাড়ি থেকে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে অভিযুক্ত যুবক কোথায় থাকেন বা তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।